দিল্লির বিরুদ্ধে মারমুখী কাইল মায়ের্স। ৩৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ছবি: আইপিএল
আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটার কাইল মায়ের্স। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করলেন তিনি। শেষ দিকে নিকোলাস পুরান ও আয়ুষ বাদোনি ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। তার ফলে ঘরের মাঠে প্রথম ব্যাট করে ১৯৩ রান করলেন লোকেশ রাহুলরা। দিল্লিকে জিততে হলে ২০ ওভারে করতে হবে ১৯৪ রান।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি লখনউয়ের। ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না রাহুলের। বড় শট মারতে পারছিলেন না মায়ের্সও। রাহুল মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। ১৪ রানের মাথায় মায়ের্সের সহজ ক্যাচ ফস্কান খলিল আহমেদ। তার পরেই খেলার ছবিটা বদলে যায়।
ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হল দিল্লিকে। এক বার জীবনদানের পরে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন মায়ের্স। তাঁকে আটকাতে পারছিলেন না দিল্লির কোনও বোলার। পেসার, স্পিনার সবার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন তিনি। মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৩ রান করে আউট হন মায়ের্স। অক্ষর পটেলের বল মিস্ করে বোল্ড হন তিনি। ইনিংসে ২টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন মায়ের্স। যে ভাবে তিনি খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল অভিষেকেই শতরান করবেন। কিন্তু মুহূর্তের অসাবধানতায় সেটা হল না।
লখনউয়ের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ব্যর্থ। দীপক হুডা, মার্কাস স্টোইনিসরা রান করতে পারেননি। শেষ দিকে দলের ইনিংসকে টানলেন আরও এক বাঁ হাতি ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। নামার পর থেকে একের পর এক বড় শট মারতে থাকেন তিনি। তাঁর ব্যাটেই ১৫০ পার করে লখনউ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানে শেষ হয় লখনউয়ের ইনিংস। পুরান ৩৬ রান করে আউট হন। বাদোনি ৭ বলে ১৮ রান করেন।