মায়াঙ্ক যাদবকে (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়) ঘিরে উল্লাস সতীর্থদের। ছবি: আইপিএল।
এক দিকে টিকে থাকলেন শিখর ধাওয়ান। ৭০ রানও করলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। পঞ্জাব কিংস ও জয়ের মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন ২১ বছরের মায়াঙ্ক যাদব। আইপিএল নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় অবলীলায় বল করলেন। মায়াঙ্কের দাপটে এ বারের আইপিএলে প্রথম জয় পেল সঞ্জীব গোয়েন্কার দল। অন্য দিকে পর পর দু’ম্যাচ হারতে হল পঞ্জাবকে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিকোলাস পুরান। চোট সারিয়ে ফেরা লোকেশ রাহুলকে এই ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলিয়েছে লখনউ। সেই কারণে অধিনায়ক পুরান। ওপেন করতে নেমে ডি’ককের সঙ্গে শুরুটা ভাল করেন রাহুল। প্রথম ম্যাচ না খেললেও এই ম্যাচে শুরু থেকে বড় শট খেলছিলেন ডি’কক। রাহুল অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি। ১৫ রান করে আরশদীপ সিংহের বলে আউট হন তিনি।
তিন নম্বরে নামা দেবদত্ত পড়িক্কল রান না পেলেও মার্কাস স্টোইনিস ও পুরানের সঙ্গে জু়টি বাঁধেন ডি’কক। স্টোইনিস করেন ১৯ রান। পুরান ফর্মে ছিলেন। অবলীলায় বড় শট খেলছিলেন। দুই বাঁ হাতি ব্যাটার মিলে দলের রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন। ৩৮ বলে ৫৪ রান করে আরশদীপের বলেই আউট হন ডি’কক। ২১ বলে ৪২ রান করে বোল্ড হন পুরান।
দুই ব্যাটার আউট হওয়ার পরে দলের রানকে ২০০-র কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। সাত নম্বরে নেমে ঝোড়ো ব্যাট করেন তিনি। অপর প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও তিনি রান তোলার গতি কমাননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে লখনউ। ক্রুণাল ২২ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল পঞ্জাব। ওপেনিং জুটিতে ১০২ রান ওঠে। ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো মারমুখী মেজাজে ছিলেন। লখনউয়ের কোনও বোলারই তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। মাঠের চার দিকে বড় শট মারছিলেন তাঁরা। আরও একটি অর্ধশতরান করেন ধাওয়ান।
বাধ্য হয়ে শেষ তাস খেলেন পুরান। বল দেন মায়াঙ্ককে। নিজের প্রথম ওভারেই ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন তিনি। যত বেশি বল করলেন তত গতি বাড়ল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ৪২ রানের মাথায় বেয়ারস্টোকে আউট করেন মায়াঙ্ক। সেই শুরু। নিজের তৃতীয় ওভারে আউট করেন প্রভসিমরন সিংহকে। স্পেলের শেষ ওভারে জিতেশ শর্মাকে ফেরান তিনি। ম্যাচে মায়াঙ্কের সব থেকে দ্রুত বল দেখাল ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। সেখানেই খেলা ঘুরে গেল।
শেষ চার ওভারে পঞ্জাবের জিততে দরকার ছিল ৬০ রান। বড় শট খেলতে গিয়ে মহসিন খানের বলে ৭০ রানে ফিরলেন ধাওয়ান। তিনিই পঞ্জাবের শেষ আশা ছিলেন। পরের বলেই আউট হলেন স্যাম কারেন। যত সময় গড়াল তত পঞ্জাবের থেকে দূরে গেল খেলা। ক্রিজ়ে ছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো ব্যাটার। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সময় চোট লাগায় স্বাভাবিক ভাবে খেলতে পারছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে শেষ হল পঞ্জাবের ইনিংস। ২১ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ।