বোল্ড হয়ে হতবাক সূর্যকুমার যাদব (বাঁ দিকে)। বড় উইকেট নিয়ে উল্লাসে মেতেছেন যশ ঠাকুর। ছবি: আইপিএল
আগের ম্যাচেই শতরান করেছেন তিনি। গত কয়েকটি ম্যাচে একার কাঁধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিতিয়েছেন। সেই সূর্যকুমার যাদব যখন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেন তখন খেলা মুম্বইয়ের হাতে। দেখে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচও জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন তিনি। কিন্তু সূর্যকে বেশি ক্ষণ টিকতে দিলেন না যশ ঠাকুর। সূর্যকে আউট করে উল্লাস করতে গিয়ে সোনার চেন খুলে পড়ে গেল তাঁর।
এই ম্যাচে যশকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলিয়েছিল লখনউ। মুম্বইয়ের ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল করছিলেন তিনি। তখন মুম্বইয়ের জিততে দরকার ৩৬ বলে ৬৩ রান। আগের দু’ওভারে স্পিনারের সামনে হাত খুলতে পারেননি সূর্য। তাই পেসার দেখে প্রথম বলই উইকেটের পিছনে খেলার চেষ্টা করেন তিনি। সূর্য যে নিজের পছন্দের শট খেলার চেষ্টা করবেন সেটা বুঝতে পেরে তাঁর শরীরের দিকে বল করেন যশ। গতিও কম ছিল। ফলে সূর্যের ব্যাটে লেগে বল গিয়ে লাগে উইকেটে। ৭ রান করে আউট হন তিনি।
সূর্যকে আউট করে লাফিয়ে ওঠেন যশ। তিনি জানতেন এই উইকেটের গুরুত্ব কতটা। বাকি সতীর্থরাও তাঁর সঙ্গে উৎসবে যোগ দেন। ঠিক তখনই যশের গলায় থাকা সোনার মোটা চেন খুলে মাটিতে পড়ে যায়। তার পরে বাকি ম্যাচে আর তাঁর গলায় চেন দেখা যায়নি। সূর্যের পরে বিষ্ণু বিনোদকেও আউট করেন যশ।
শেষ ওভারে মুম্বইয়ের জিততে দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম দু’ওভারে ২১ রান দেওয়া মহসিন খানের হাতে বল তুলে দেন লখনউয়ের অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য। চাপের মধ্যে দুরন্ত বল করেন এই বাঁহাতি বোলার। একের পর এক ইউর্কার দেন তিনি। মাত্র ৫ রান দেন মহসিন। ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৭২ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস। ৫ রানে ম্যাচ জেতে লখনউ।