কেকেআরের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ২১ রান। সেই ওভারে স্টার্ককে তিনটি ছক্কা মারেন করণ শর্মা। এর পরেই তাঁকে আউট করেন স্টার্ক। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। সেই বলে দৌড়ে এক রান নিলেও দ্বিতীয় রানটি নিতে পারেনি। রান আউট হয়ে যান ফার্গুসন। তাতেই জিতে যায় কলকাতা।
দুটি ভাল ওভার করল কেকেআর। আরসিবি-কে জিততে গেলে ১৮ বলে ৩৭ তুলতে হবে।
রাসেল এবং নারাইন মিলে পর পর ২ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নিলেন। তাঁদের বোলিংয়ের দাপটে ম্যাচে ফিরে এল কেকেআর। নারাইন একই ওভারে আউট করলেন গ্রিন এবং মহীপাল লোমরোরকে। নারাইন ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
ক্যামেরন গ্রিন আউট। নারাইনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন তিনি। আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন গ্রিন। পরের বার নারাইন একই জায়গায় বল করলেও গতি কমিয়ে দেন। তাতেই আউট গ্রিন।
একই ওভারে ২ উইকেট রাসেলের। জ্যাক্সের পর আউট পাটীদারও। আরসিবি-র দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পর জ্যাক্স এবং পাটীদার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ১০২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। কিন্তু রাসেল বল করতে এসেই দু'জনকে আউট করে দিলেন। কেকেআর-কে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন তিনি।
বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন রাসেল। প্রথম বলেই জ্যাক্সের উইকেট নেন তিনি। রাসেলের বলের গতি কম ছিল। বড় শট খেলতে গিয়ে জ্যাক্স ক্যাচ দিলেন রঘুবংশীর হাতে।
তাঁর এক ওভার থেকে ২২ রান এল। দু’টি ছয় ও দুটি চার মারলেন পাটীদার।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে স্পিনারের উপরেই ভরসা রাখল কেকেআর।
এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। নিয়ন্ত্রণে থাকা ম্যাচ তাঁর ওভারের সৌজন্যে ঘুরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সমর্থকদের প্রশ্ন, আর কত দিন স্টার্ককে বয়ে বেড়ানো হবে?
২৫ কোটির বোলারকে তুলে তুলে ছয় মারলেন অনামী উইল জ্যাকস। গতির হেরফেরে যেখানে উইকেট আসছে, সেখানে স্টার্ক জোরে বল করে ব্যাটারদের আরও সুবিধা করে দিচ্ছেন। এক ওভারে ২২ দিয়ে খেলা আরসিবি-র দিকে ফিরিয়ে দিলেন। ২ ওভারে স্টার্ক খেলেন ৩৪ রান।
প্রথম বলেই উইকেট নিলেন বরুণ। তাঁকে হালকা শট খেলতে গিয়েছিলেন ডুপ্লেসি। মিড অনে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ভাল ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন বেঙ্কটেশ আয়ার।
হর্ষিতের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিলেন কোহলি। ভেবেছিলেন নো বল হবে। রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন বলটি বৈধ। ফলে কোহলিকে ১৮ রানেই সাজঘরে ফিরতে হল।
শেষ দিকে রমনদীপ সিংহ এবং আন্দ্রে রাসেলের আগ্রাসী খেলায় ভাল স্কোর তুলল কলকাতা। কোহলিদের এই রান তুলতে বেগ পেতে হতে পারে।
গ্রিনের বলে সোজা শট খেলেছিলেন। কিন্তু লং অফে শ্রেয়সের ক্যাচ ধরে নিলেন ডুপ্লেসি।
ক্রিজ় কামড়ে পড়ে থেকে খেলছেন শ্রেয়স। অর্ধশতরান করলেন অধিনায়ক।
রিঙ্কুর আউট হওয়ার পরের বলেই রাসেল ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটকিপারের হাতে। কিন্তু কোমরের বেশি উচ্চতায় হওয়ায় সেটি নো বল দিলেন আম্পায়ার।
লকি ফার্গুসনের স্লোয়ার বলে খারাপ শট খেললেন রিঙ্কু। ফাইন লেগের উপর দিয়ে শট মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিলেন দয়ালের হাতে।
রান তোলার গতি অনেক কমেছে। স্পিনারদের খেলা কঠিন হচ্ছে এই পিচে। গ্রিনের ১১তম ওভারে ৭ রান এবং কর্ণের ওভার থেকে ১২ রান এল।