হতাশ: জয়ে ফেরার উপায় খুঁজছেন ম্যাকালাম। আইপিএল
শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে সোমবার দলকে জেতাতে না পেরে হতাশ কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তিনি আরও হতাশ, ৫১ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পরেও তাঁর দল রাজস্থান রয়্যালসের কাছে সাত রানে হেরে যায়।
শ্রেয়সের মতোই হতাশ কেকেআর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। টানা তিন ম্যাচে হারের পরে যিনি বলেছেন, এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার উপায় যত দ্রুত সম্ভব, বার করতে হবে। সঙ্গে এও জানাতে ভোলেননি, সোমবার নিজেদের ভুলেই জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করতে হয়েছে।
সোমবার ম্যাচের পরে শ্রেয়স বলেন, ‘‘একটা সময় আমাদের রান তোলার গতি প্রায় ওদের সমান-সমান হয়ে গিয়েছিল। যার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য অ্যারন ফিঞ্চের। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতাটা রক্ষা করতে পারলাম না। যা খারাপ একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। কিন্তু কিছু করারও নেই। এ সবই আসলে ক্রিকেটের অঙ্গ।” যোগ করেন, “আমার পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে জেতানোর। পারলাম না ভেবে হতাশ লাগছে।’’
নাইট কোচ ম্যাকালাম আবার বলেছেন, “শেষ চার ওভারে আমরা চালকের আসনে ছিলাম। কিন্তু বিশ্রী কয়েকটা ভুল এবং চাপ সামলাতে না পেরেই হারতে হল।” যোগ করেন, “টানা তিন ম্যাচ হারের পরে একটা উপায় তো খুঁজে বার করতেই হবে দলকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে তুলতে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, এই পরিস্থিতিতে সকলকে একজোট হয়ে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এমন প্রতিকূলতার সামনে আগেও পড়তে হয়েছে। আবারও এক কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।”
নাইট অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যুজ়বেন্দ্র চহালের বলে নীতিশ রানার আউটই কি ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছিল? শ্রেয়সের জবাব, ‘‘নীতিশের বিরুদ্ধে যুজ়ি একটা অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে গিয়েছিল। আর ওদের শুরুটা দুর্দান্ত করে গিয়েছিল জস বাটলার। আমি বলব, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ জস-ই নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। যুজ়িও খুব ভাল বোলিং করে ম্যাচ বার করে নিল।’’
ম্যাকালাম আবার জানিয়েছেন, ২১৭ রান তাড়া করার জন্যই শুরুতে ফিঞ্চের সঙ্গে সুনীল নারাইনকে যুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর ব্যাখ্যা, “উইকেট বেশ ভাল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কেমন ব্যাটিং করা উচিত, সেটা নারাইন ভালই জানে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ও একটা বলও খেলার সুযোগ পায়নি। তবে এমন হতে পারে।” আরও বলেছেন, “ফিঞ্চ এবং শ্রেয়স দারুণ শুরু করেছিল। রাজস্থান দলে দুই স্পিনার অশ্বিন এবং চহাল থাকায় মাঝের দিকে রাখা হয়েছিল বেঙ্কটেশকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সুযোগকে যে ভাবে কাজে লাগানো দরকার, সেটা আমরা করতে পারিনি।”
শ্রেয়স জানিয়েছেন, সোমবারের ম্যাচে শিশির কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়নি। তা হলে ম্যাচে চারশোর বেশি রান হত না। যদিও আউটফিল্ড তাঁর পছন্দ হয়নি। তবে শ্রেয়সের বিশ্বাস, কেকেআর দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। বলেছেন, ‘‘আমি চাপ ভালবাসি। হারলেও এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’’