আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইন। ছবি: আইপিএল।
সুনীল নারাইনের বিধ্বংসী ইনিংস মুগ্ধ করেছে তাঁর ক্যারিবিয়ান সতীর্থকে। ম্যাচ শেষে স্বয়ং আন্দ্রে রাসেল তাঁর বন্ধুকে গিয়ে জানিয়ে দেন, ব্যাট হাতে তাঁকেও ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছেন নাইট ওপেনার।
দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০৬ রানে হারানোর পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা হয় দু’জনের ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যায় রাসেল সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন নারাইনের। শেষে নারাইনও বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেন তাঁর বন্ধুর উদ্দেশে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ৩৯ বলে ৮৫ রান করেছেন নারাইন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন। যার পরে রাসেল প্রশ্ন করেন, ‘‘সুনীল এই ইনিংস খেলার অনুভূতি কী রকম? একটার পর একটা ছক্কা হাঁকিয়েছ। এসআরকে-র সামনে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছ। কী ভাবে ব্যাখ্যা করবে এই ইনিংসকে?
নারাইন বলেন, ‘‘পিচটা খুব ভাল ছিল। আমার পরিকল্পনা একটাই। মাঠে নেমে বড় শট নাও। কিন্তু একটা সময় বোলাররা আমার শরীরের ভেতরের দিকে বল করছিল। তখন আমাকে জায়গা তৈরি করে শট খেলতে হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘সব ব্যাটসম্যানের জীবনেই এই রকম দিন আসে যখন তোমাকে খুব একটা বেশি কিছু করতে হয় না। ভাগ্য সঙ্গ দেয়। এই ইনিংসটা সে রকমই। পাশাপাশি আমাদের বস এসআরকে-র মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। আমার কাছে যা বড় প্রাপ্তি।’’
নারাইন এ বার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাসেলকে। বলেন, ‘‘তুমিও তো প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলছিলে। তোমার পরিকল্পনা
কী ছিল?’’
রাসেল বলেন, ‘‘তুমিই আমাকে প্রেরণা দিয়েছ বড় শট খেলার। আজ আমাকে ছাপিয়ে গিয়েছ। যে জায়গায় ম্যাচটা ছিল সেখান থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছি। আসল কাজ তো তুমিই করে গেলে। আমি তাই শুরুর দিকে কয়েকটি বল দেখে নেওয়ার পরে শট খেলতে শুরু করি। সব চেয়ে ভাল দিক, আমরা ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছি।’’
নারাইন এ বার প্রশংসা করেন তরুণ ব্যাটসম্যান অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর। ২৭ বলে ৫৪ রান করে নজর কেড়েছেন ১৮ বছরের তরুণ। তাঁকে নিয়ে নারাইন বলেন, ‘‘অঙ্গকৃষের ইনিংসও প্রশংসার দাবি রাখে। ও খুব পরিশ্রমী। অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করে।’’
টানা তিনটি জয় পেলেও নাইট শিবিরে বাড়ছে চোট আতঙ্ক। নীতীশ রানার পরে এ বার চোটের কবলে হর্ষিত রানা। কাঁধে চোট পেয়েছেন তরুণ পেসার। আগামী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আদৌ খেলতে পারবেন কি না রয়েছে প্রশ্ন।