ইডেনে দলকে জেতানোর পরে আন্দ্রে রাসেল। ছবি: আইপিএল।
গত কয়েক মরসুমে একের পর এক ম্যাচে হতাশ করেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটে রান ছিল না। বড় শট খেলতে পারছিলেন না। রাসেল ফর্মে না থাকায় সমস্যা হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই দেখা গিয়েছে বিধ্বংসী রাসেলকে। ২৫ বলে ৬৪ রান করেছেন তিনি। মেরেছেন ৭টি ছক্কা। আগের কয়েক মরসুমের ব্যর্থতা ভুলে আবার কী ভাবে পুরনো মেজাজে ফিরলেন তিনি? জবাব দিলেন রাসেল নিজেই।
শুক্রবার চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলবে কেকেআর। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাসেল। সেখানে তাঁর এই বদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাসেল জানান, মানসিক ও টেকনিক দুই ক্ষেত্রেই বদল করেছেন তিনি। কেকেআর অলরাউন্ডার বলেন, “সব থেকে বেশি জরুরি ছিল মানসিক বদল। কয়েক মরসুম আগেও আমি অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছি। অনেক ছক্কা মেরেছি। সেই সব পুরনো ভিডিয়ো দেখেছি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভেবেছি। আমি বুঝতে পেরেছি গত কয়েক মরসুমে ব্যাট করতে নেমে অনেক কিছু ভাবতাম। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চাইতাম। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই ভুলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এ বার আমি সে সব ভাবছি না। আমার স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করছি। সেটা কাজে দিয়েছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার জানিয়েছেন, শারীরিক ভাবেও অনেক পরিশ্রম করেছেন তিনি। তার ফল পাচ্ছেন। রাসেল বলেন, “আমি অনেকটা ওজন কমিয়েছি। রোগা হয়েছি। তাতে ব্যাট ও বল, দুটো করতেই সুবিধা হচ্ছে। ফিল্ডিং করার সময়ও অনেক জোরে দৌড়তে পারছি।”
সেই সঙ্গে ব্যাটিং টেকনিকও কিছুটা বদলেছেন রাসেল। সেখানে অবশ্য তাঁকে সাহায্য করেছেন সতীর্থ সুনীল নারাইন। রাসেল বলেন, “আবু ধাবি লিগে এক বার নেটে ব্যাট করছিলাম। নারাইন আমাকে দেখে বলল, ‘তুমি বলের দিকে অনেক বেশি যাচ্ছ। বলকে তোমার কাছে আসতে দাও।’ আমি ভেবে দেখলাম, ঠিক কথাই বলেছে নারাইন। বিশ্ব ক্রিকেটে যারা বড় শট মারতে দক্ষ তারা সবাই খুব বেশি পা বাড়িয়ে খেলে না। আমিও সেটা করতে থাকলাম। বলের দিকে না গিয়ে বলকে ব্যাটের কাছে আসতে দিলাম। তাতে আমি কিছুটা বেশি সময় পেলাম। হ্যান্ড আই কোঅর্ডিনেশন (চোখ ও হাতের ভারসাম্য)-এর উপর বেশি জোর দিলাম। তাতেই এই বদল এসেছে।”
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচের সেরা হয়েছেন রাসেল। সামনে আরও ১৩টি ম্যাচ রয়েছে। কেকেআর সমর্থকেরা চাইবেন, এ বার যেন এই ফর্মেই দেখা যায় রাসেলকে। প্রথম ম্যাচেই তার ঝলক দেখিয়ে দিয়েছেন ‘দ্রে রাস’।