মহড়া: কোমরে বেল্ট বেঁধে দৌড় রাসেলের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ইডেনে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সোমবার খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচে আট পয়েন্টে থাকা নাইটদের কাছে শেষ চারটি ম্যাচই মরণ-বাঁচন লড়াই।
শনিবার ইডেনে ঐচ্ছিক অনুশীলনে দেখা যায়নি নীতীশ রানা, রহমনুল্লা গুরবাজ়, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি ও জেসন রয়কে। তাঁরা হোটেলে বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু ইডেনে এসে কয়েক ঘণ্টা নেটে ব্যাট করলেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, রিঙ্কু সিংহ, শার্দূল ঠাকুররা। মোট চারটি নেট জুড়ে মহড়া চলে নাইটদের। একটি নেটে বল করছিলেন পেসাররা। একটি নেটে স্পিনাররা। একটি নেটে থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞেরা বল ছুড়ে অনুশীলন করাচ্ছিলেন। চতুর্থ নেটে চলছিল স্কুপ মারার মহড়া।
সাধারণত আন্দ্রে রাসেল, শার্দূলের মতো শক্তিশালী ব্যাটসম্যানকে স্কুপ শট নিতে দেখা যায় না। কিন্তু ইডেনে এ দিন প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলল তাঁদের স্কুপ শটের মহড়া। কেকেআর শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আরশদীপ সিংহের ইয়র্কার সামলানোর জন্যই এই বিশেষ মহড়ায় মেতেছে নাইট শিবির। চলতি আইপিএলে আরশদীপ একের পর এক ইয়র্কার দিয়ে প্রতিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে পরপর দু’বলে মিডল স্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। শেষের দিকে তাঁর বিরুদ্ধে রানই তুলতে পারছেন না কোনও ব্যাটসম্যান। তাঁর ওভারে শেষের দিকে যাতে সহজে রান বার করা যায়, তাই এই মহড়া।
শেষ ম্যাচের নায়ক সিভি বরুণ এ দিন খুব একটা বেশি বল করেননি। মাঠে এলেও বিশ্রামেই ছিলেন বেশির ভাগ। শেষ ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে এখনও চর্চা অব্যাহত। প্রথম স্পিনার হিসেবে শেষ ওভারে ১০ রানের নিচে কোনও স্কোর আটকে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে কেকেআরের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়োয় অধিনায়ক নীতীশ রানা বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার দলের সেরা অস্ত্রকে শেষ ওভারটা দিতে। সে দিন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেরা বল করেছিল শার্দূল ও বরুণ। আমি শুরুতে বরুণের কাছে গিয়ে জানতে চাই ও তৈরি কি না।’’ যোগ করেন, ‘‘হঠাৎ মনে হয় শার্দূলকে দেখি। কিন্তু আবার বরুণের কাছে ফিরে যাই।’’
নীতীশ চান না শেষ ম্যাচ মাথায় রাখতে। সে ম্যাচ থেকে যাবতীয় আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী ম্যাচে গেলেও শূন্য থেকে শুরু করাতেই বিশ্বাসী তিনি। নীতীশের কথায়, ‘‘শেষ ম্যাচের প্রাপ্তি ভুলে যেতে চাই দ্রুত। আমাদের সামনে সব ম্যাচই ফাইনাল। প্রত্যেকটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই ছন্দ বজায় থাকবে আগামী চারটি ম্যাচে।’’
পঞ্জাব কিংসের কাছেও এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। নাইটদের বিরুদ্ধে হারলেই শেষ তিনটি ম্যাচ তাঁদের কাছে মরণ-বাঁচন দ্বৈরথ। নাইটদের ঘরের মাঠে শিখর ধাওয়ানরা কী করেন, সেটাই দেখার।
শনিবার রাতে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন ধাওয়ানরা। রবিবার বিকেলে অনুশীলনে নামবেন। কেকেআর বনাম পঞ্জাব ম্যাচ মানেই বীর-জ়ারার দ্বৈরথ। প্রীতি জ়িন্টা আসতে চলেছেন। শাহরুখ খানের দেখা কি পাওয়া যাবে নাইটদের হসপিটালিটি বক্সে? সোমবারের ইডেনই সেই উত্তর দেবে।