বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) ও রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
দেখে মনে হচ্ছে, বাঁ হাতে ব্যাট করতে নেমেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি আসলে কোহলি নন, রিঙ্কু সিংহ। চলতি আইপিএলে কোহলির কাছ থেকে দু’টি ব্যাট উপহার হিসাবে পেয়েছেন রিঙ্কু। সেই কোহলিরই নকল করে দেখালেন কেকেআর ব্যাটার।
একটি সাক্ষাৎকারে রিঙ্কুকে কয়েক জন ক্রিকেটারের নকল করে দেখাতে বলা হয়। রিঙ্কু প্রথমেই কোহলিকে নকল করেন। তিনি বলেন, “বিরাট ভাইয়ের খেলা আমি খুব দেখি। ও কী ভাবে ব্যাট করে, কী ভাবে খেলা এগিয়ে নিয়ে যায় সেখান থেকে শেখার চেষ্টা করি।” এ কথা বলেই বিরাটের কায়দায় ব্যাট করা শুরু করেন তিনি। শুধু বিরাট নন, সতীর্থ নীতীশ রানার ব্যাট করার কায়দাও নকল করে দেখান রিঙ্কু। আর এক সতীর্থ বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং অ্যাকশনও নকল করে দেখান কেকেআর ব্যাটার।
সাক্ষাৎকারে আরও কিছু বিষয়ে মুখ খোলেন রিঙ্কু। তিনি জানান, কেউ যদি ভুতের গল্প করেন তা হলে রাতে একা ঘুমোতে পারেন না। রিঙ্কু বলেন, “আমি ছোটবেলায় একা ঘুমোতে পারতাম না। এখনও যদি কেউ ভুতের গল্প করে তা হলে আমি একা ঘুমোতে পারি না। খুব ভয় লাগে। এখন আমাকে রাতে একা ঘুমোতে হলে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখি।”
ছোটতে এক বার বাড়িতে বাঁদরের কামড় খেয়েছিলেন রিঙ্কু। একটি বাঁদরই ছ’বার কামড়েছিল তাঁকে। রিঙ্কু বলেন, “ছোটতে আমাদের গ্রামে প্রায়ই বাঁদরের উৎপাত হত। এক বার আমি বাড়ির বাইরে বসেছিলাম। একটা বাঁদর এসে আমাকে কামড়েছিল। এক বার নয়, ছ’বার। আমাকে ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছিল। আমার মনে হয়, বাঁদরটা আমাকে ভালবেসে ফেলেছিল। সেই কারণে এত বার কামড়েছিল।” নিজের কথায় নিজেই হেসে ফেলেন রিঙ্কু।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গত বার পাঁচ ছক্কার কারণে শিরোনামে এসেছিলেন রিঙ্কু। তাই যত বার তিনি কথা বলেন উঠে আসে ছয় ছক্কার প্রসঙ্গ। এই সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেন, “আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, ঠিক মতো মারতে পারছিলাম না। শেষ ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল। তখন ভেবে নিয়েছিলাম, যা হবে হবে, ছক্কা মারতেই হবে। তিন নম্বর ছক্কা মারার পরে বুঝে গিয়েছিলাম, পরের দুটোতেও মারতে পারব। সেটাই হয়েছে। সেই ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। তাই জিতেছিলাম।”