নাইট সংসারে এক ক্যারিবিয়ান ব্যাটার বসে আছেন সাজঘরে। —ফাইল চিত্র
একের পর এক ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনার বদল। কেউ সাফল্য এনে দিতে পারেননি। জেসন রয় এবং রহমানুল্লা গুরবাজ ওপেন করলেন শেষ কয়েকটি ম্যাচে। কিন্তু তাঁরাও ধারাবাহিক ভাবে রান করতে পারেননি। কিন্তু নাইট সংসারে এক ক্যারিবিয়ান ব্যাটার বসে আছেন সাজঘরে। তাঁকে এখনও পর্যন্ত মাঠে নামতে দেখা যায়নি। তিনি জনসন চার্লস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটার লিটন দাসের পরিবর্ত হিসাবে কেকেআর দলে যোগ দেন। তিনি ৮ মে কলকাতা আসেন। তার পর থেকে নাইটরা তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। একটিতেও দেখা যায়নি চার্লসকে। কলকাতার শেষ ম্যাচ ২০ মে। সে দিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ইডেনে খেলবে নাইটরা। ওপেনার হিসাবে সেই ম্যাচে চার্লসকে খেলালে গুরবাজ বা জেসনের মধ্যে একজনকে বসাতে হবে। আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক গুরবাজকে বসালে কলকাতা দলে দেখা যেতে পারে নারায়ণ জগদীশনকে। তাঁকে উইকেটরক্ষার দায়িত্ব দিতে পারে কেকেআর।
কলকাতার হয়ে গুরবাজ, জেসন ছাড়াও ওপেন করেছেন লিটন, জগদীশন, মনবীর সিংহরা। কিন্তু কেউই দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। শেষ ম্যাচে চার্লসকে খেলিয়ে শেষ চেষ্টা করতে পারে কলকাতা।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে শনিবার খেলতে নামার আগে আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই ম্যাচে কলকাতাকে জিততেই হবে, সেই সঙ্গে নেট রানরেটও উন্নতি করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে চার্লস কলকাতা দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেই দলে ছিলেন চার্লস। ইডেনে সে বারের ফাইনাল জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।