ভারত ১৮৯৫ কোটি টাকা পাচ্ছে, এটাই মানতে পারছেন না নজম শেঠী। —ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের পর এ বার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানও রেগে গেলেন আইসিসির সিদ্ধান্তে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছে। তবু ভারত ১৮৯৫ কোটি টাকা পাচ্ছে, এটাই মানতে পারছেন না নজম শেঠী। আইসিসিকে ভেবে দেখার কথা বললেন তিনিও।
আইসিসির তরফে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভারত প্রতি বছর ১৮৯৫ কোটি টাকা পেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত প্রতি বছর এই টাকা পেতে পারে ভারত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও আগের থেকে বেশি টাকা পাবে। কিন্তু সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে নজম বলেন, “আমরা চাই আইসিসি জানাক কী ভাবে এই টাকার ভাগ করা হবে। পিসিবি একদমই খুশি নয়। জুন মাসে এই নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পুরো তথ্য না জানানো হলে আমরা এই প্রস্তাব মানব না।”
আইসিসির যে কমিটি এই টাকার অঙ্ক ঠিক করে, সেখানে জয় শাহ রয়েছেন। নজম বলেন, “ভারতের বেশি টাকা পাওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কী ভাবে এই ভাগটা হয়।” আইসিসির লাভের টাকা বিভিন্ন দেশের বোর্ডকে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেই টাকা কে কতটা পাবে তা ঠিক হয় আইসিসি কোন বোর্ডের থেকে কত টাকা লাভ করছে সেটার ভিত্তিতে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক আথারটনও আইসিসির এই টাকার অঙ্কের ভাগ নিয়ে খুশি নন। তিনি বলেন, “জুন মাসে আইসিসির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। সব দেশই আগের থেকে বেশি টাকা পাবে। কিন্তু তা-ও এটা নিয়ে আলোচনা করতেই হবে। আইসিসির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান এহসান মানি বলছিলেন যে, টাকা সব থেকে বেশি সেখানে যাচ্ছে, যেখানে দরকার নেই।” আথারটন মনে করেন এই ভাবে টাকা ভাগ হলে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী বোর্ড আরও শক্তিশালী হবে। সেটা হলে ক্রিকেটের উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী লাভের প্রায় ৪০ শতাংশ পাবে ভারত। প্রায় ৪০ শতাংশ পাবে বিসিসিআই। ভারতের পরে সব থেকে বেশি টাকা পাবে ইংল্যান্ড। তারা পাবে ৬.৮৯ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা। যা ভারতের থেকে অনেক কম। অস্ট্রেলিয়া পাবে ৬.২৫ শতাংশ (প্রায় ৩০৮ কোটি টাকা)। এর পরে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা ৫.৭৫ শতাংশ ভাগ পাবে অর্থাৎ প্রায় ২৮৪ কোটি টাকা। আইসিসির সব অ্যাসোসিয়েট দেশ মিলিয়ে পেতে পারে প্রায় ৫৫১ কোটি টাকা।