শাকিবও কলকাতাকে অনুরোধ করেছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে। মূলত দু’টি কারণের কথা জানিয়েছেন তিনি। — ফাইল চিত্র
এ বারের আইপিএল থেকে ছিটকেই গেলেন শাকিব আল হাসান। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও না হলেও তা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় খেলার সুযোগ পেলেও পছন্দের শহরের হয়ে নামা হচ্ছে না শাকিবের। কলকাতার তরফে শাকিবের কাছে প্রথমে প্রস্তাব গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, শাকিবও কলকাতাকে অনুরোধ করেছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে। মূলত দু’টি কারণের কথা জানিয়েছেন তিনি।
আগামী কয়েক সপ্তাহ খুবই ব্যস্ত থাকবেন শাকিব। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে টেস্ট শুরু হবে। আবার মে মাসে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে এক দিনের সিরিজ় হবে, যার উপর আয়ারল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন নির্ভর করছে। আগামী ৯, ১২ এবং ১৪ মে সেই ম্যাচগুলি রয়েছে। বাংলাদেশ বোর্ড চাইছে, শাকিব তাদের হয়ে সেই সিরিজ়েও খেলুন।
নিজের দেওয়া দু’টি কারণে শাকিব প্রথমেই দেশের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন। আগামী দিনে তাঁকে কতগুলি ম্যাচ খেলতে হবে, সে কথা জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় কারণ হিসাবে জানিয়েছেন পারিবারিক দায়বদ্ধতার কথা। সেটি ঠিক কী, তা জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠান থাকায় সেখানে যাবেন বলে আইপিএল খেলতে রাজি হচ্ছেন না শাকিব।
রবিবারই শাকিবের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে কলকাতার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যে কোনও দিন করে দেওয়া হবে। শাকিবের পরিবর্তে ভাল বিদেশির খোঁজ করছে কেকেআর। এমনিতেই তাদের দলে বিদেশির অভাব। তার উপর শাকিবের ছিটকে যাওয়া আরও বড় ধাক্কা। কলকাতা এমন বিদেশির খোঁজ করছে, যিনি খেলার মধ্যে রয়েছেন এবং যাঁকে গোটা আইপিএলে পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন রয়েছে লিটন দাসকে নিয়েও। শাকিব যে ক’টি ম্যাচ খেলবেন লিটনেরও সেখানে খেলার কথা। কিন্তু লিটন আইপিএলে খেলতে চান। ফলে ইচ্ছে না থাকলেও তাঁকে দলে রাখতে হবে এবং কোনও পরিবর্তও নিতে পারবে না কলকাতা। আগামী দিনে লিটনও মন বদলান কিনা সেটাই এখন দেখার।
১৮ মার্চ কলকাতা জানিয়েছিল যে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এক দিনের সিরিজ় খেলার পরেই ভারতে আসবেন শাকিব। কিন্তু তাঁকে যে টেস্ট দলেও রাখা হবে এটা ভাবা যায়নি। যেমন বাংলাদেশ বোর্ডের অসহযোগিতার কথাও মাথায় রাখেনি কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঝামেলা আরও বাড়ুক, সেটা কোনও পক্ষই আর চাইছে না।