পন্থই হয়তো দিল্লিকে ভাল খেলার অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন। — ফাইল চিত্র
দলে যোগ দিয়েছেন অনরিখ নোখিয়া। হয়তো মঙ্গলবারের ম্যাচে খেলবেনও। কিন্তু গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামার আগে চিন্তা যাচ্ছে না দিল্লি ক্যাপিটালসের। ভারতীয় বোলারদের নখদন্তহীন আক্রমণ সমস্যায় ফেলেছে প্রথম ম্যাচেই। লখনউয়ের ব্যাটাররা যথেচ্ছ পিটিয়েছেন। এ বার সামনে গুজরাত, যে দলে আরও ভাল মানের ক্রিকেটার রয়েছে। ফলে সৌরভের দিল্লির চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। একটি ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস পেতে পারে তারা। স্টেডিয়ামে থাকতে পারেন ঋষভ পন্থ। মাঠের বাইরে থেকেও দলের বড় ভরসা তিনিই।
দিল্লি দলে পরিকল্পনার অভাব ধরা পড়েছে। যে পরিকল্পনা নিয়ে তারা ম্যাচে নামছে তা কাজে না লাগলে দ্বিতীয় কোনও পরিকল্পনা বার করতে পারছে না তারা। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৫০ রানে হার তারই প্রমাণ। চেতন সাকারিয়া এবং মুকেশ কুমারের মতো ভারতীয় বোলাররা প্রথম ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। ব্যাটিং অর্ডারেও গলদ রয়েছে। যদিও ম্যাচের আগে তা শোধরানোর আশ্বাস দিয়েছেন দলের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলাদেশের জোরে বোলার মুস্তাফিজুর রহমানও দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি প্রথম ম্যাচে খেলেন কি না সেটা দেখার।
আগের মরসুমের মতো এ বারও গুজরাত দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। প্রথম ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন শুভমন গিল। শুরুটা ভাল করেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহাও। মাঝের দিকের ব্যাটাররা সে ভাবে সফল হননি। কিন্তু যে কোনও ম্যাচে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখতে পারেন। বল হাতে মহম্মদ শামিও পুরনো ছন্দে রয়েছেন। ভরসা রয়েছে রশিদ খান এবং আলজারি জোসেফের উপরেও।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গুজরাত ম্যাচের আগে দিল্লির ডিরেক্টর সৌরভ ইঙ্গিত দিয়েছেন অক্ষর পটেলকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে তুলে আনার। বলেছেন, “ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অক্ষরের ব্যাটিংয়ে উন্নতি হওয়ায় ও উপর দিকে ব্যাট করবে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন পিচে ভাল ব্যাট করেছে। আশা করি আইপিএলেও সেটা বজায় রাখবে।”
তবে বোলিংয়ে অক্ষরকে আরও একটু উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন সৌরভ। তাঁর মতে, লাইন-লেংথের দিকে আরও নজর দিতে হবে। সৌরভ বলেছেন, “টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটারদের চুপ করিয়ে রাখা সহজ নয়। মায়ার্স, পুরান, রাসেল, পাওয়েলকে আমরা বিরাট ছক্কা মারতে দেখেছি। তবে বলের লাইন ঠিক রাখলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।”
পৃথ্বী এবং সরফরাজকে সময় দিতে চান দলের ক্রিকেট ডিরেক্টর। বলেছেন, “পৃথ্বী জোরে বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও রান করেছে। একটা ম্যাচে খারাপ খেলতেই পারে। মিচেল মার্শও একই রকম বলে আউট হয়েছে। মার্ক উডের কৃতিত্ব প্রাপ্য। আমি বলব, একটা ম্যাচে খারাপ দিয়ে বিচার করা উচিত নয়।”