আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়াররা কত নম্বর পেলেন? ছবি: আইপিএল
আইপিএলে ১০টি দলই এক বার করে খেলে ফেলেছে। এ বারের প্রতিযোগিতায় চালু হওয়া ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম একটি বাদে সব দলই ব্যবহার করেছে। একমাত্র বেঙ্গালুরুকে নতুন নিয়মের ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। হয়তো তারা সুযোগই পায়নি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানোর। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এতটাই দাপট ছিল তাদের। আইপিএলে বাকি ৯টি দলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স বিচার করে নম্বর দিল আনন্দবাজার অনলাইন:
তুষার দেশপান্ডে (২): আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। অম্বাতি রায়ডুর বদলে নামেন। দিনটা ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। গুজরাতের কাছে হারে দল। ৩.২ ওভারে ৫১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তুষার।
সাই সুদর্শন (৬): চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই গুজরাতের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামেন তিনি। চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে। তিনে নেমে ১৭ বলে ২২ রান করেন।
বেঙ্কটেশ আয়ার (৬): কলকাতার প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। প্রথম একাদশে ছিলেন না। ব্যাটিংয়ের সময় বরুণ চক্রবর্তীর জায়গায় নামেন। ২৮ বলে ৩৪ রান করেন।
ঋষি ধাওয়ান (২): পঞ্জাবের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। কলকাতার বিরুদ্ধে দলের বোলিংয়ের সময় নামেন ভানুকা রাজাপক্ষের বদলে। মাত্র এক ওভার বল করে ১৫ রান দেন।
কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (৬): লখনউয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই নামেন। আয়ুষ বাদোনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যাট করতে নামেন গৌতম। একটি বল খেলে ছয় রান করেন। বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রান দিলেও উইকেট পাননি।
আমন খান (২): দিল্লির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় নামেন, খলিল আহমেদের পরিবর্তে। কিন্তু চার রানেই সাজঘরে ফিরে যান।
আব্দুল সামাদ (৬): ফজলহক ফারুকির বদলে হায়দরাবাদের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামেন আব্দুল। রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে ৩২ বলে ৩২ রান করেন। দলকে জেতাতে পারেননি। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা প্রশংসিত হয়েছে।
নবদীপ সাইনি (১): রাজস্থানের নবদীপ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামেন যশস্বী জয়সওয়ালের বদলে। কিন্তু ২ ওভারে ৩৪ রান দেন।
জেসন বেহরেনডর্ফ (২): মুম্বইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। সূর্যকুমার যাদবের বদলে নামলেও তিন ওভারে ৩৭ রান খরচ করেন। ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি।