রবিন উথাপ্পা। ফাইল ছবি।
এক রকম ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে। আইপিএলের মাঝেই কার্যত বোমা ফাটালেন রবিন উথাপ্পা।
খুব কম ক্রিকেটারই আইপিএলে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে টানা কয়েক মরসুম খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অধিকাংশ ক্রিকেটারই আইপিএলের নির্দিষ্ট কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থিতু হওয়ার সুযোগ পাননি। তেমনই এক জন উথাপ্পা।
এখনও পর্যন্ত ছ’টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলেছেন উথাপ্পা। চলতি মরসুমে আছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। আইপিএলের খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ২০০৯ সালের কথা বলেছেন উথাপ্পা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য বলেছেন, ‘‘২০০৯ মরসুমে আইপিএল শুরুর মাত্র এক মাস আগে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির এক জন আমাকে ট্রান্সফার ফর্মে সই করতে বলেন। আমি সই করতে রাজি ছিলাম না। আপত্তি জানানোয় আমাকে বলা হয়েছিল, সই না করলে মুম্বইয়ের হয়ে একটা ম্যাচেও আমাকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না।’’ কে তাঁকে ওই কথা বলেন তা অবশ্য জানাতে চাননি উথাপ্পা।
৩৭ বছরের ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘আমি অন্যতম প্রথম ক্রিকেটার যাকে আইপিএলে ট্রান্সফার করা হয়। জাহির খান, মণীশ পাণ্ডেরাও ছিল আমার সঙ্গে। সেই ঘটনাটা আমার জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল। কারণ তখন আমি মুম্বইয়ের প্রতি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ ছিলাম মানসিক ভাবে। আইপিএল শুরুর ঠিক এক মাস আগে আমাকে ট্রান্সফার ফর্মে সই করতে বলা হয়। কিন্তু, আমি প্রত্যাখ্যান করি।’’
আইপিএল জীবন সম্পর্কে উথাপ্পা বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে প্রথম মরসুমে আমি খুব হতাশ ছিলাম। সেই মরসুমে একটা ম্যাচেও ভাল খেলতে পারিনি। শুধু একটা ম্যাচেই ভাল খেলেছিলাম। কিন্ত তার পরেই বাদ দেওয়া হয়। পরে আবার প্রথম একাদশে নেওয়া হয়।’’ সফল হওয়ার পরেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেন তাঁকে দলে রাখতে চায়নি, তা জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন উথাপ্পা।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৩২০ রান করেন তিনি। ২০০৯ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৩ ম্যাচে করেন মাত্র ১৭৫ রান। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তাঁর সেরা মরসুম ২০১৪। সে বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে প্রতিযোগিতায় ৬৬০ রান করেন। কমলা টুপিও দখল করেন সে বার। এ বারেও প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আইপিএলের নিলাম পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করেন উথাপ্পা।