জয়ের উচ্ছ্বাস রাজস্থানের। ছবি আইপিএল
আইপিএলের শুরুতে হারের হ্যাটট্রিক হয়েছিল তাদের। চেন্নাই সুপার কিংস মরসুমটা শেষ করলও হারের হ্যাটট্রিক দিয়েই। মুম্বই, গুজরাতের পর শেষ ম্যাচে শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের কাছেও হেরে গেল তারা। সঞ্জু স্যামসনের দল জিতল ৫ উইকেটে। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেল রাজস্থান। লখনউ নামল তিনে। ফলে ২৪ মে ইডেনে গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে নামবে রাজস্থানই। সেখানে হারলেও ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ থাকবে।
এ দিন রাজস্থানকে জেতালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে বল নয়, ব্যাট হাতে। ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে যশস্বী জায়সবাল বাদে রাজস্থানের কোনও ব্যাটার রান পাননি। প্রথম সারির ব্যাটাররা সবাই ব্যর্থ। এই অবস্থায় মাঝের সারিতে একটু আগেই নামিয়ে দেওয়া হয় অশ্বিনকে। মাথা ঠান্ডা রেখে ধৈর্য ধরে দলকে জেতালেন অশ্বিন। ২৩ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকলেন।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। শুরুতেই বিপদে পড়ে চেন্নাই। প্রথম ওভারেই রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় তারা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে রুতুরাজের ক্যাচ নেন সঞ্জু। তবে এর পর চেন্নাইকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেন ডেভন কনওয়ে এবং মইন আলি। দ্বিতীয় উইকেটে ওঠে ৮৩ রান। এর মধ্যে বেশিরভাগ রানই মইনের। রাজস্থানের বোলারদের উপর চড়াও হন ইংল্যান্ডের ব্যাটার। বিশেষ করে বোল্টের বল নিয়ম করে মাঠের বাইরে ফেলতে থাকেন মইন। আইপিএলের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন তিনি। কনওয়ে ১৬ রানের ফেরার পরেই নারায়ণ জগদীশনকে এবং অম্বাতি রায়ডুকেও হারায় চেন্নাই।
এর পর মইনের সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধীরগতিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেও মইন আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই খেলতে থাকেন। ১৯ বলে অর্ধশতরান করেন। শতরানের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওবেদ ম্যাকয়ের বলে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন রিয়ান পরাগের হাতে। শতরানের থেকে সাত রান দূরে থেমে যান মইন। তিনি ফেরার কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য আউট হয়ে যান ধোনি। শেষ দিকে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা রান তুলতে না পারায় ১৫০/৬ স্কোরেই থেমে যায় তারা।
প্রতিযোগিতায় কমলা টুপির দাবিদার জস বাটলার হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়েছেন। চেন্নাই ম্যাচেও তাঁর ব্যাটে রান পাওয়া গেল না। মাত্র দু’রানে সিমরজিৎ সিংহের বলে ফিরে গেলেন। আর এক ওপেনার যশস্বী জায়সবালের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সঞ্জু। প্রাথমিক ধাক্কা সামলালেও ১৬ রানে সঞ্জুকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। দেবদত্ত পাড়িক্কলকে তুলে নেন মইন। যশস্বী ফেরার পর মনে হচ্ছিল রাজস্থানের পক্ষে ম্যাচ বের করা মুশকিল। কিন্তু দলকে জিতিয়ে দেন অশ্বিন।