অধিনায়কের ইনিংস খেললেন শ্রেয়স। রান করলেন অ্যারন ফিঞ্চও। কিন্তু বাকি ব্যাটাররা কেউ তাঁদের সাহায্য করতে পারলেন না। এক ওভারে হ্যাটট্রিক-সহ চার উইকেট নিলেন যুজবেন্দ্র চহাল।
উল্লাস রাজস্থানের ক্রিকেটারদের ছবি: আইপিএল
তীরে এসে তরী ডুবল। শ্রেয়স আয়ার, অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়কের ইনিংস খেললেন শ্রেয়স। রান করলেন অ্যারন ফিঞ্চও। কিন্তু বাকি ব্যাটাররা কেউ তাঁদের সাহায্য করতে পারলেন না। এক ওভারে হ্যাটট্রিক-সহ চার উইকেট নিলেন যুজবেন্দ্র চহাল। তাঁর ৫ উইকেটের দাপটে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে ম্যাচ হারল কেকেআর।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফের এক বার নিজের জাত চেনালেন রাজস্থানের ওপেনার জস বাটলার। মুম্বই ম্যাচের রিপ্লে দেখা গেল। প্রথম কয়েকটা বল দেখে খেলার পরে শুরু করলেন হাত খুলে খেলা। কলকাতার হয়ে প্রতিটি ম্যাচে দুরন্ত শুরু করা উমেশ যাদবের বিরুদ্ধে বড় শট খেলা শুরু করলেন তিনি। তার পরে প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী কাউকে রেয়াত করলেন না।
মাঠের চার দিকে শট খেলছিলেন বাটলার। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খারাপ বল করলেন কলকাতার বোলাররা। বরুণ যে তাঁর ছন্দে নেই তা বোঝা গেল প্রথম ওভারেই। প্রচুর রান দিলেন কামিন্সও। এক মাত্র সুনীল নারাইন নিজের ছন্দে বল করলেন। তিনি না থাকলে কপালে আরও দুঃখ ছিল কেকেআরের। মাত্র ২১ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন তিনি।
মাত্র ৫৮ বলে এ বারের আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতরান করলেন বাটলার। দেখে মনে হচ্ছিল ২৪০-এর বেশি রান হবে। তবে শেষ চার ওভারে রান কিছুটা কম হল। ফলে ২১৭ রানে শেষ হল রাজস্থানের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন নারাইন। তবে তার পরে ১০৭ রানের জুটি বাঁধলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও শ্রেয়স আয়ার। দুরন্ত ব্যাটিং করলেন তাঁরা। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ফিঞ্চকে। জরুরি রানরেটের থেকে বেশি গতিতে রান উঠছিল। ২৮ বলে ৫৮ রান করে আউট হন ফিঞ্চ।
তবে অন্য দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রেয়স। এত দিন তাঁর ব্যাটে রান আসেনি। তবে রাজস্থানের বিরুদ্ধে অধিনায়কের ইনিংস খেললেন তিনি। নীতীশ রানা, আন্দ্রে রাসেলরা আউট হলেও রানের গতি কমতে দেননি শ্রেয়স। কিন্তু নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় তাঁর উপরেই রান করার সব দায়িত্ব পড়ে যাচ্ছিল। চাপের মুখে বড় শট খেলতে গিয়ে ৮৫ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। শ্রেয়স আউট হতেও জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় কেকেআরের। এক ওভারে বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়স, শিবম মাভি ও কামিন্সের উইকেট তুলে খেলার ছবি বদলে দেন চহাল। শেষ দিকে উমেশ কিছু বড় শট খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি।