উত্থান: শেষ ওভারে লখনউকে আটকে দিলেন কুলদীপ। আইপিএল
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে শেষ ওভারে জেতার জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের দরকার ছিল ১৫ রান। তার আগের ওভারেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দু’টি ছক্কা ও একটি চার-সহ ১৯ রান দিয়ে গিয়েছেন। শেষ ওভারে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার পেসার কুলদীপ সেনের হাতে যখন বল তুলে দিলেন, তখন ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী, মহম্মদ কাইফেরা বলছিলেন বিশাল বড় চাপের সম্মুখীন হতে চলেছেন ২৫ বছর বয়সি এই পেসার। কারণ, উল্টো দিকে তখন ১২ বলে ২৮ রান করে রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়নিস।
সেই জায়গা থেকে প্রবাসী বাঙালি এই পেসার প্রথম চার বলে মাত্র এক রান দিয়ে স্টোয়নিসকে নিষ্ক্রিয় রাখার কাজ সেরে ফেলেন। প্রথম বলে ফুলটসে আবেশ খান এক রান নিলেও, তার পরের তিন বলে স্টোয়নিসকে রান না নিতে দিয়ে রাজস্থানের জয় ছিনিয়ে নিয়ে এলেন কুলদীপ-ই। তা-ও আবার এ দিনই নবদীপ সাইনির বদলে প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বল ছিল অফস্টাম্পের কিছু বাইরে। তৃতীয় বলও অফস্টাম্পের বাইরে রাখেন পুরো লেংথে। চতুর্থ বলও প্রায় একই জায়গায়। এই তিন বলেই স্টোয়নিস রান না নিতে পারায় তখনই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে কুলদীপ দেন ১১ রান। তিন রানে জেতে রাজস্থান।
যা দেখে ম্যাচের শেষে মহম্মদ কাইফ তাঁর একদা সতীর্থ ইরফান পাঠানকে বলেই দিলেন, ‘‘ছেলেটার বলের গতি ভাল। সঙ্গে মসৃণ ভাবে ইয়র্কার দিতে পারে। মাথাটাও চাপের মুখে ঠান্ডা রাখতে জানে। বেশ পরিণত বোলারের ছাপ রেখেছে কুলদীপ।’’ শেষ ওভারে দুরন্ত বল করা ছাড়াও চাপের মুখে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা দীপক হুডাকে ফিরিয়ে স্বস্তির জায়গায় এনে দিয়েছিলেন কুলদীপ (১-৩৫)। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার হরিহরপুরের কুলদীপের বাবা রামপাল সেন সেলুনের মালিক। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় কুলদীপ ক্রিকেট শুরু করেন আট বছর বয়সে স্থানীয় কোচের হাত ধরে। ২০১৮ সালে রঞ্জিতে অভিষেক।