মুম্বইকে জেতাল তিলক-শোকীন জুটি। ছবি: আইপিএল
আইপিএলের প্রথম সাক্ষাতে জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। দ্বিতীয় সাক্ষাতে মধুর প্রতিশোধ নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলকে ৫ উইকেটে হারালেন রোহিত শর্মারা। ফলে আইপিএলের নকআউট পর্বে যাওয়ার পথ কঠিন হল চেন্নাইয়ের।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। ড্যানিয়েল স্যামসের দাপটে শুরুতেই ধাক্কা খায় চেন্নাই। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারায় চার বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা মইন আলিকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন স্যামস। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রথম ওভারেই চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। দ্বিতীয় ওভারে চেন্নাইয়ের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেন যশপ্রীত বুমরা। তিনি ফিরিয়ে দেন চার নম্বরে নামা রবীন উথাপ্পাকে (১)। মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি চেন্নাই। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ধোনির দল।
দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও উইকেটের একদিক আগলে রাখেন ধোনি। বাইশ গজের অপর প্রান্তে একের পর এক সতীর্থকে আউট হতে দেখেও শান্ত ভাবে ব্যাটিং করে গেলেন ৪১ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৩৩ বলে ৩৬ রান করে। মারলেন ৪টি চার, ২টি ছয়। চেন্নাইয়েরদ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ডোয়েন ব্যাভোর ১২। মাত্র ১৬ ওভারেই ৯৭ রানে শেষ হয়ে গেল চেন্নাইয়ের ইনিংস।
স্যামস ছাড়াও দুরন্ত বোলিং করলেন বুমরা। স্যামস ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। বুমরার ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট। তিনি একটি ওভার মেডেন পেলেন। কুমার কার্তিকেয় ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট এবং রিলি মেরেডিথ ২৭ রানে ২ উইকেট নিলেন।
৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাল মুম্বইও। মাত্র ৬ রানেই মুকেশ চৌধুরীর বলে আউট হলেন ওপেনার-উইকেটরক্ষক ঈশান কিশন। দ্রুত আউট হলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। ১৪ বলে ১৮ রান করে তিনি আউট হলেন সিমরজিত সিংহের বলে। ৪টি চার মারলেন তিনি। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা স্যামস (১)। মুকেশ চৌধুরীর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে পর পর উইকেট হারিয়ে পাল্টা চাপে পড়ে যায় মুম্বইও। রোহিতের দলকে চাপে রাখতে মুকেশকে শুরুতেই টানা চার ওভার বল করালেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ২৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন মুকেশ। উইকেটের অন্য প্রান্ত থেকে মুম্বইয়ের ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রাখলেন সিমরজিতও। তাঁকেও টানা ৪ ওভার বল করালেন চেন্নাই অধিনায়ক। সিমরজিত ২২ রান দিয়ে পেলেন ১ উইকেট।
মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়ার পর মুম্বই ইনিংসের হাল ধরেন তিলক বর্মা এবং হৃত্বিক শোকীন। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা ধীরে ধীরে চাপ কাটান। তাঁদের জুটিতে উঠল ৪৮ রান। চেন্নাইয়ের পরের বোলাররা অবশ্য আর শুরুর চাপ ধরে রাখতে পারলেন না। শোকীনকে ১৮ রানে আউট করলেন মইন আলি। অবশ্য দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন। তিনি অপজারিত থাকলেন ৩২ বলে ৩৪ রান করে। মারলেন ৪টি চার। টিম ডেভিড করলেন ৭ বলে অপরাজিত ১৬ রান। ১৪.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রান করল মুম্বই।