শতরান করে দলকে জেতালেন রাহুল। ছবি আইপিএল
আইপিএলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁদের ঘরের মাঠ বলে পরিচিত। কিন্তু মুম্বইয়ে আইপিএল হওয়া সত্ত্বেও এত দিন সেই স্টেডিয়ামে খেলতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অবশেষে অষ্টম ম্যাচে এসে প্রথম বার ওয়াংখেড়েতে নামল তারা। দু’বছর পর নীল জার্সিতে দেখা গেল রোহিত শর্মাদের। কিন্তু সেখানেও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হল না। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৩৬ রানে হেরে গেল তারা।
আবার শতরান করলেন কেএল রাহুল। এই আইপিএলে জস বাটলারের তিনটি শতরান রয়েছে। রাহুলের দু’টি হয়ে গেল। আরও অবাক করা ব্যাপার, দু’টিই এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮/৬ তুলেছিল লখনউ। মুম্বই থেমে গেল ১৩২/৮ রানে।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ব্যাট করতে নেমে মোটেও সুবিধে করতে পারেনি লখনউ। রানের গতি ছিল খুবই কম। চতুর্থ ওভারেই কুইন্টন ডি’কককে হারায় তারা। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৩২ রান ওঠে। ডি’কক ফেরার পর মণীশ পান্ডের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন রাহুল। কিন্তু সেই জুটি ৫৮ রানের বেশি টেকেনি। এর পর কয়েক বলের ব্যবধানে ফিরে যান মার্কাস স্টোইনিস এবং ক্রুণাল পাণ্ড্য।
তবে উল্টো দিকে একাই খেলে যাচ্ছিলেন রাহুল। প্রথম দিকে তিনি নিজেও খুব সাবলীল ভঙ্গিতে খেলতে পারেননি। তবে ম্যাচ যত এগোল, তত রাহুলের আসল রূপ দেখা গেল। উল্টো দিকে কাউকে পাবেন না বুঝে রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন লখনউ নেতা। সেই প্রচেষ্টাতেই শতরান এল। শেষ ওভারের প্রথম বলে রিলি মেরিডিথকে ছক্কা মেরে নিজের শতরান পূরণ করেন। এই আইপিএলে প্রথম শতরান এসেছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বারেও একই প্রতিপক্ষকে বেছে নিলেন তিনি। দু’বারই ১০৩ রানে অপরাজিত থাকলেন।
মুম্বই একেবারেই শুরুটা ভাল করতে পারেনি। লখনউয়ের মতো তারাও প্রথম থেকে ধীরগতিতে রান তুলতে শুরু করে। বিশেষ করে হতাশ করছিলেন ঈশান কিশন। কারওর বলেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে আট রান করে ফিরে যান। আউট হওয়ার ধরনও দুর্ভাগ্যজনক। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে চালাতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার ডি’ককের বুটের গোড়ায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপ যায়। সেখানে ক্যাচ নেন জেসন হোল্ডার। রিভিউ দেখে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত নেন।
ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩) এবং সূর্যকুমার যাদবও (৭) এ দিন টিকতে পারেননি। ধীরে ধীরে এগোলেও রোহিতও ফিরে যান ৩৯ রানে। মুম্বইয়ের হয়ে আশা জাগিয়েছিলেন তিলক বর্মা এবং কায়রন পোলার্ড। দু’টি চার এবং দু’টি ছক্কার সাহায্যে ক্রমশ দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মোক্ষম সময়ে তাঁকে তুলে নেন জেসন হোল্ডার। তার পরেই মুম্বইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।