টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় কলকাতা। ওপেনিং জুটিতে বেশি রান করতে পারেননি বেঙ্কটেশ আয়ার ও অজিঙ্ক রহাণে। আকাশ দীপের বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যান বেঙ্কটেশ। রান পাননি রহাণেও। প্রশংসা করতে হয় ডুপ্লেসির। ঠিক সময়ে বোলিং পরিবর্তন ও ঠিক জায়গায় ফিল্ডার রেখে কলকাতাকে আটকে রাখেন তিনি।
শ্রেয়সকে ফিরিয়ে কোহলী, হাসরঙ্গদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করে ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় আরসিবি।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় কলকাতা। ওপেনিং জুটিতে বেশি রান করতে পারেননি বেঙ্কটেশ আয়ার ও অজিঙ্ক রহাণে। আকাশ দীপের বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যান বেঙ্কটেশ। রান পাননি রহাণেও। প্রশংসা করতে হয় ডুপ্লেসির। ঠিক সময়ে বোলিং পরিবর্তন ও ঠিক জায়গায় ফিল্ডার রেখে কলকাতাকে আটকে রাখেন তিনি। ফলে চাপ বাড়ছিল ব্যাটারদের উপর।
চাপে পড়ে পর পর আউট হন নীতীশ রানা ও শ্রেয়স আয়ার। রান পাননি সুনীল নারাইন, স্যাম বিলিংসও। পর পর দু’বলে নারাইন ও শেল্ডন জ্যাকসনকে আউট করে বড় ধাক্কা দেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। রাসেল কয়েকটি বড় শট খেলেন। কিন্তু ২৫ রানের মাথায় তাঁকে সাজঘরে ফেরান হর্ষল পটেল। ২ ওভার বল করে কোনও রান না দিয়ে ২ উইকেট তোলেন তিনি।
শেষ উইকেটে উমেশ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী জুটি না বাঁধলে সমস্যায় পড়ত কলকাতা। উমেশ ১৮ ও বরুণ ১০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ১২৮ রানে শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে হাসারঙ্গা ৪ ও আকাশ দীপ ৩টি উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি আরসিবি-রও। প্রথম ওভারেই অনুজ রাওয়তকে আউট করেন উমেশ। পরের ওভারেই অধিনায়ক ডুপ্লেসিকে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি। বিরাট কোহলীকে ১২ রানের মাথায় আউট করেন উমেশ।
৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন ডেভিড উইলি ও শেরফানে রাদারফোর্ড। তাঁরা দলের রানকে এগিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু ১৮ রানের মাথায় নারাইনের বলে আউট হল উইলি। তার পরে রাদারফোর্ডের সঙ্গে মিলে দলের রানকে ১০০-র গণ্ডি পার করান শাহবাজ আহমেদ।
শেষ দিকে ফের খেলার ছবি বদলে যায়। রাদারফোর্ড, শাহবাজ ও হাসারঙ্গ অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু ক্রিজে ছিলেন দীনেশ কার্তিক। তিনি ফিনিশারের ভূমিকা পালন করলেন। তাঁকে সঙ্গ দিলেন হর্ষল। দু’জনে মিলে চার বল বাকি থাকতে দলকে জিতিয়ে দেন। ম্যাচ হারলেও লড়াই করল কলকাতা। মাত্র ১২৮ রান করতেও শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হল কোহলীদের দলকে।