উমেশ খেলতে পারেন শনিবারের ম্যাচে, জানালেন ম্যাকালাম। ছবি টুইটার
শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নামার আগে কিছুটা হলেও চিন্তা কলকাতা শিবিরে। একে তো দেশের হয়ে খেলার জন্য প্রথম পাঁচ ম্যাচে নেই প্যাট কামিন্স। তার উপর প্রথম ম্যাচে পাওয়া যাবে না টিম সাউদিকেও। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম জানিয়েছেন, দেরি করে ভারতে আসার জন্য এখনও নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। ফলে ভাল করে অনুশীলন করতে পারেননি। ফলে প্রথম ম্যাচে ভারতীয় বোলাররাই ভরসা কেকেআরের।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ম্যাকালাম বলেছেন, “প্রথম ম্যাচে সাউদি নেই। ভারতে ওর আসতে দেরি হয়েছে। তাই আমরা ভারতীয় বোলারদের উপরেই ভরসা রাখছি। উমেশ যাদব রয়েছে। ওকে নিলামে নিয়ে আমাদের ভালই হয়েছে। বল ভালই সুইং করাতে পারে। উইকেটও নিতে পারে। পাওয়ার প্লে-তে ওর পরিসংখ্যান খুবই ভাল। ওকে ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারি। শিবম মাভিকেও খেলাতে পারি। আরও দু’-তিনজন আমার মাথায় রয়েছে। এর পর স্পিনারদের আনব।”
গত বার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আইপিএল ফাইনালে হেরেছিল কেকেআর। এ বারও প্রথম ম্যাচে সামনে তারাই। মাথায় কি প্রতিশোধ ঘুরছে। ম্যাকালাম হাসতে হাসতে বললেন, “প্রতিশোধ বলে কোনও শব্দ আমার অভিধানে নেই। আমরা দারুণ খেলেছিলাম ফাইনালে। চেন্নাইও ভাল খেলেছে। গত মরসুমে যা অর্জন করেছি তা নিয়ে গর্বিত। মাঝপথে যেখানে ছিলাম সেখান থেকে ফাইনালে পৌঁছনো সহজ কথা নয়। হয়তো জিতিনি, কিন্তু ভাল খেলেছি। চেন্নাইয়েও সম্প্রতি নেতৃত্বে বদল হয়েছে। রবীন্দ্র জাডেজা অধিনায়ক হয়েছে। তবে ওর পিছনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও রয়েছে। জিতেই শুরু করতে চাই।”
ওপেনিং নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হলেন না ম্যাকালাম। তবে যা ইঙ্গিত, তাতে বেঙ্কটেশ আয়ারের সঙ্গে হয়তো অজিঙ্ক রহাণেকে ওপেন করানো হতে পারে। আবার খেলতে পারেন নীতীশ রানাও। ম্যাকালাম বলেছেন, “কারা ওপেন করতে চলেছে সেটা এখনই বলব না। তবে এটা বোঝার জন্য কোনও বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেকেরই দক্ষতা আছে ওপেন করার। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানোই আমার আসল কাজ। কিছু দিন পরেই অ্যারন ফিঞ্চ আসবে। তখন আমাদের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে।”
অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে নিয়ে মুগ্ধ ম্যাকালাম। বললেন, “শ্রেয়সের সঙ্গে কাজ করার জন্যে উত্তেজিত। পাঁচ বছর আগে ওর সঙ্গে আলাপ হয়। তখন ও দিল্লিতে। আমি গুজরাতে ছিলাম। নম্বরের আদানপ্রদান হলেও ও কখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এখন ওকে দেখুন। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা।”