কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে একটা ভাল বা খারাপ ওভারই বদলে দিতে পারে ম্যাচের রং। জয় ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে প্রতিপক্ষ। এ বারের আইপিএলেও কয়েকটি ওভার নির্ধারণ করেছে ম্যাচের ফল।
গুজরাত টাইটান্স-পঞ্জাব কিংস ম্যাচের শেষ ওভারে খেলার রং বদলে দেন গুজরাতের ব্যাটার রাহুল তেওয়াটিয়া। জয়ের জন্য ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ তিন বলে গুজরাতের দরকার ছিল ১৩ রান।
প্রথম বলে এক রান হওয়ায় শেষ দু’বলে ১২ রান তুলতে হত গুজরাতকে। পঞ্জাবের বোলার ওডিন স্মিথকে শেষ দু’বলে দু’টি বিশাল ছয় মেরে পঞ্জাবের প্রায় নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নেন তেওয়াটিয়া।
চেন্নাই সুপার কিংস-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে রবীন্দ্র জাডেজার দলের দরকার ছিল ১৭ রান। প্রথম বলেই ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে আউট করেন জয়দেব উনাদকট।
শেষ চার বলে দরকার ছিল ১৬ রান। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে যথাক্রমে ছয় এবং চার মারেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পঞ্চম বলে দু’রান নেন। শেষ বলে ৪ মেরে চেন্নাইকে জয় এনে দেন ধোনি।
পঞ্জাব কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে পঞ্জাবের ইনিংসের ১৮তম ওভার বদলে যায় ম্যাচের রং। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ৩৬ রান।
১৮তম ওভারে বল করতে আসেন বেঙ্গালুরুর মহম্মদ সিরাজ। ব্যাটার ছিলেন ওডিন স্মিথ। সিরাজ প্রথম তিন বলেই দিয়ে বসেন ওয়াইড-সহ ১৭ রান। শেষ বলে স্মিথ আবার ছয় মারেন। ওভারে ২৫ রান দিয়ে সিরাজ প্রায় জেতা ম্যাচ হারিয়ে দেন বেঙ্গালুরুকে।
গুজরাত টাইটান্স-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যদের দরকার ছিল ৪৮ রান। কিন্তু হাতে তেমন উইকেট ছিল না। সেই ম্যাচের গুজরাত অধিনায়ক রশিদ খান বদলে দেন ম্যাচের রং।
চেন্নাইয়ের ক্রিস জর্ডন বল করতে আসেন ১৮তম ওভারে। প্রথম চার বলেই রশিদ তাঁকে তিনটি ৬ এবং একটি ৪ মারেন। ওভারে মোট ২৫ রান দিয়ে গুজরাতকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেন জর্ডন।
দিল্লি ক্যাপিটালস-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ৫৬ রান। উইকেটে ছিলেন অক্ষর পটেল এবং ললিত যাদব। ১৬ এবং ১৭তম ওভারে ২৪ রান নিয়ে দলের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন তাঁরা।
এর পর ১৮তম ওভারে বল করতে আসেন মুম্বইয়ের ড্যানিয়েল স্যামস। দিল্লির দুই ব্যাটার ওই ওভারেই তুলে নেন আরও ২৪ রান। তাতেই শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের জয়ের আশা। কারণ শেষ দু’ওভারে দিল্লির দরকার ছিল মাত্র ৪ রান।
লখনউ সুপার জায়ান্টস-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের শেষ দু’ওভারে জয়ের জন্য ৩৪ রান দরকার ছিল লোকেশ রাহুলের দলের। ১৯তম ওভারে চেন্নাই আক্রমণে নিয়ে আসে শিবম দুবেকে। সেটাই ছিল সে দিন শিবমের প্রথম ওভার।
প্রথম বলেই ছয় মারেন আয়ুষ বাদোনি। এর পর দু’টি ওয়াইড করেন শিবম। ওভারের শেষ তিন বলে লখনউয়ের আরেক ব্যাটার এভিন লুইস ১৪ রান নেন। এক ওভারে ২৫ রান দিয়ে লখনউয়ের জয় নিশ্চিত করে দেন শিবম।