মারমুখী কার্তিক ছবি আইপিএল
চার বছর ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। ইডেন গার্ডেন্সে খেলেছেন বহু ম্যাচ। কিন্তু বুধবার যে ভালবাসা, সমর্থন দীনেশ কার্তিক পেলেন, তা আগে কখনও পেয়েছেন কি? বিরাট কোহলীতে আচ্ছন্ন কলকাতা এ দিন হঠাৎই আপন করে নিল কার্তিককে। ‘ঘরের মাঠের’ সমর্থন পেয়ে কার্তিক আস্থার দাম রাখলেন। ২৩ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে বেঙ্গালুরুর স্কোর দুশো পার করে দিলেন।
চতুর্থ উইকেট পড়ার পর তিনি যখন নামেন, তখনও বেঙ্গালুরু খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। তখন একা লড়ছেন রজত পতিদার। দলের প্রথম সারির ব্যাটাররা সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন। বরাবরের মতো এ দিনও কার্তিকের ব্যাটের উপর ভরসা করছিল বেঙ্গালুরু। সেই ভরসা ব্যর্থ হতে দিলেন না কিছু দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা কার্তিক। তিনি নামতেই স্টেডিয়াম জুড়ে রব উঠল ‘ডিকে, ডিকে’।
প্রথম দিকে একটু ধীর গতিতে খেলছিলেন তিনি। এক সময় ১২ বলে মাত্র ১৪ রান করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ যত এগোয়, তত তাঁর ব্যাট থেকে বেরোতে শুরু করে দর্শনীয় সব শট। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে আবেশ খানকে পরপর দু’টি চার মারেন। পরের বল ওয়াইড। তার পরের বলে আবার চার। ১৯তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরাকে ছক্কা মারেন। পরের বলে বাউন্ডারি। সেই ওভারে ওঠে ২১ রান। আরসিবি-র ২০০ রান তোলা নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই।
দিনের শেষে নিঃসন্দেহে কার্তিককে শান্তি দেবে কলকাতার সমর্থন। কেকেআরে অধিনায়ক থাকার সময় যে সমর্থন পাননি, কোহলীর দলে গিয়ে সেটাই পেয়ে গেলেন কার্তিক।