কলকাতার হয়ে রান করেন শ্রেয়স। ৪২ রান করেন কেকেআর অধিনায়ক। দিল্লির বিরুদ্ধে রান পেয়েছেন নীতীশ রানাও। ৫৭ রান করেন তিনি। শেষ বেলায় ১৬ বলে ২৩ রান করে দলকে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করেন রিঙ্কু সিংহ।
ছবি: আইপিএল
ফের দিল্লির বিরুদ্ধে হার। এ বারের আইপিএলে টানা পাঁচটি ম্যাচে হেরে গেল কলকাতা। বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে হারল তারা।
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে যে কোনও অধিনায়কই আগে বোলিং করতে চাইবেন। ঋষভ পন্থও ব্যতিক্রম নন। তিনিও টস জিতলেন এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠালেন। ওপেনিং নিয়ে সমস্যা চলছে কলকাতার। অ্যারন ফিঞ্চকে দলে ফেরত এনে সেটাই ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন শ্রেয়স আয়াররা। কিন্তু মাত্র তিন রান করে ফিরে গেলেন ফিঞ্চ। তাঁর সঙ্গী বেঙ্কটেশ আয়ার ফিরলেন ছয় রান করে। চেতন সাকারিয়া এবং অক্ষর পটেল শুরুতেই ধাক্কা দিলেন কলকাতাকে।
দুই ওপেনার ফিরতে দিল্লির হয়ে বল করতে এলেন কুলদীপ যাদব। প্রাক্তন নাইটের হাতেই গত বারের ম্যাচে কলকাতার পতন হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও কোনও ব্যতিক্রম নয়। ৩ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন কুলদীপ। পর পর ফিরিয়ে দিলেন বাবা ইন্দ্রজিৎ এবং সুনীল নারাইনকে। আন্দ্রে রাসেল এবং শ্রেয়স আয়ারের উইকেটও নেন তিনিই।
কলকাতার হয়ে রান করেন শ্রেয়স। ৪২ রান করেন কেকেআর অধিনায়ক। দিল্লির বিরুদ্ধে রান পেয়েছেন নীতীশ রানাও। ৫৭ রান করেন তিনি। শেষ বেলায় ১৬ বলে ২৩ রান করে দলকে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করেন রিঙ্কু সিংহ।
দিল্লি ব্যাট করতে নামে ১৪৭ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে। উমেশ যাদবের প্রথম বলেই তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পৃথ্বী শ। বৃহস্পতিবার অভিষেক করা হর্ষিত রানা ফিরিয়ে দেন মিচেল মার্শকে। সদ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতার বিরুদ্ধে মাঠে ফিরে করলেন ১৩ রান।
দিল্লির হয়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ললিত যাদবের জুটি দলকে লড়াইয়ে রেখে দেয়। উমেশ এবং সুনীল নারাইন পর পর তিন উইকেট নিয়ে কলকাতাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতাতে পারেননি। রভমান পাওয়েল এবং অক্ষর পটেল দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ জেতান পাওয়েল।