জিতলেন ধোনিরা। ছবি আইপিএল
হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। রবিবার তারা ৯১ রানে হারিয়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সরিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আটে উঠে এল তারা। কলকাতা নেমে গেল নয়ে। দিল্লির প্লে-অফের রাস্তাও কঠিন হয়ে গেল। এই ম্যাচে জিতলে প্রথম চারে ওঠার সম্ভাবনা ছিল তাদের। তা হল না। প্রথমে ব্যাট করে রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ের দাপটে ২০৮-৬ তোলে চেন্নাই। জবাবে দিল্লি শেষ ১১৭ রানে। চোটের কারণে এ দিন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে পারেননি রবীন্দ্র জাডেজা।
মরসুমের শুরু থেকে চেন্নাইকে সমস্যায় ফেলেছিল তাদের ওপেনিং জুটি। একটানা ব্যর্থ হচ্ছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর সঙ্গী রবিন উথাপ্পাও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। কিন্তু ডেভন কনওয়েকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার পরেই আবার জ্বলে উঠেছে রুতুরাজ। হায়দরাবাদ ম্যাচে মাত্র এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন। এ দিন অর্ধশতরান করলেন দাপটের সঙ্গে খেলে। প্রথম উইকেটেই উঠে গেল ১১০ রান। দিল্লির হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গেল কার্যত ওখানেই।
আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলার পর বিয়ের কারণে কিছুদিন বিরতি নিয়েছিলেন কনওয়ে। ফেরার পর তিনি ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। গত দুই মরসুমে যে ভূমিকা নিয়েছিলেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি, এ বার সেই ভূমিকাতেই দেখা যাচ্ছে কনওয়েকে। এ দিনও অর্ধশতরান করলেন। ভুল শট খেলতে গিয়ে আউট না হলে তিন অঙ্কের রানও করে ফেলতে পারতেন।
ওপেনিংয়েই এত রান উঠে যায় যে চেন্নাইয়ের মাঝের সারির ব্যাটারদের সে ভাবে চাপে পড়তেই হয়নি। শিবম দুবে ১৯ বলে ঝোড়ো ৩২ রানের ইনিংস খেলে দেন। অম্বাতি রায়ডু এ দিনও ব্যর্থ। তবে আলাদা করে নজর কাড়লেন ধোনি। একটি চার এবং দু’টি ছক্কার সাহায্যে তাঁর আট বলে ২১ রানের কারণেই দুশোর গণ্ডি পেরল চেন্নাই।
ব্যাট করতে নেমে কখনওই দিল্লিকে দেখে মনে হয়নি তারা এই রান তুলতে পারে। পৃথ্বী শ এই ম্যাচে না থাকায় দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন শ্রীকর ভরত। পাঁচ বলে আট করে ফিরলেন তিনি। সাহসী শট খেলতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন ছন্দে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারও। মিচেল মার্শ এবং ঋষভ পন্থ এসে কিছুটা ধস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে গেলেন দু’জনেই।
ভরসা ছিল রভমান পাওয়েলের উপরে। কিন্তু তিনিও মাত্র তিন রান করে আউট হয়ে যান। শার্দূল ঠাকুরের জন্য তবু কোনও মতে একশো পেরোয় দিল্লি। তবে বড় হার এড়ানো যায়নি।