জয়ের পর বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল
আইপিএলের শেষ চারে জায়গা কার্যত পাকা করে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তারা হারাল ৬৭ রানে। প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু করে ৩ উইকেটে ১৯২ রান। জবাবে ১২৫ রানেই শেষ কেন উইলিয়ামসনদের ইনিংস।
বিরাট কোহলীর খারাপ সময় যেন কাটছেই না। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও প্রথম বলেই কোনও রান না করে ফিরে গেলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। এই নিয়ে এ বারের আইপিএলে তৃতীয় গোল্ডেন ডাক করলেন তিনি। যদিও তাঁর রান না পাওয়ার অভাব বুঝতে দিলেন না বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
দুর্দান্ত ব্যাট করলেন ডুপ্লেসি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। ৫০ বলে ৭৩ রানের ইনিংসটি সাজালেন ৮টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন তিন নম্বরে নামা রজত পতিদার। তিনি করলেন ৩৮ বলে ৪৮ রান। মারলেন ৪টি চার এবং ২টি ছয়। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ১০৫ রান। চার নম্বরে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও করলেন ২৪ বলে ৩৩। অস্ট্রেলীয় ব্যাটারের ৩টি চার, ২টি ছয়। এর পর ঝড় তুললেন দীনেশ কার্তিক। মাত্র ৮ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রানকে নিয়ে গেলেন নিরাপদ জায়গায়। ১টি চার, ৪টি ছয় মেরে অপরাজিত থাকেন তিনি।
হায়দরাবাদের কোনও বোলারই এদিন তেমন দাগ কাটতে পারলেন না। যদিও জগদীশ সুচিথ ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন। কোহলী এবং পতিদারকে সাজঘরে ফেরালেন এই বাঁহাতি স্পিনার। কার্তিক ত্যাগী ৪২ রান দিয়ে ম্যাক্সওয়েলের উইকেট পেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং কেন উইলিয়ামসন সাজঘরে ফিরলেন খাতা খোলার আগেই। তিন নম্বরে নেমে রাহুল ত্রিপাঠী দলের ইনিংসের হাল ধরলেও তা জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসটি তিনি সাজালেন ৬টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে। তিনি ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান বলতে এডেন মার্করামের ২৭ বলে ২১ রান এবং নিকোলাস পুরানের ১৪ বলে ১৯ রান। হায়দরাবাদের বাকি কোনও ব্যাটারই তেমন কিছু করতে পারলেন না।
হায়দরাবাদের ইনিংস মূলত ধস নামালেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। অনবদ্য বোলিং করলেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। একটি ওভার মেডেনও পেলেন। জস হ্যাজেলউডও ভাল বল করলেন। তিনি ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন।