চেন্নাই অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজা। ছবি: আইপিএল
চেন্নাই সুপার কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের সেরা চাল দিল ধোনির চেন্নাই। ব্যাঙ্গালোরের ইনিংসের শুরুতেই চেন্নাই আক্রমণে আনল স্পিনারদের। তাতে শুরুতেই আটকে গেলেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলীরা। আরও বাড়ল বিশাল রান তাড়া করার চাপ।
প্রথম ওভারেই নতুন বল তুলে দেওয়া হল অফ স্পিনার মইন আলির হাতে। দ্বিতীয় ওভার দেওয়া হয় জোরে বোলার মুকেশ চৌধরীকে। তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে আনা হল শ্রীলঙ্কার অফ স্পিনার মাহিশ থিকশানাকেও। চতুর্থ ওভারে আবার প্রান্ত বদল করে মইন। সপ্তম ওভারে আক্রমণে এলেন অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজা নিজে। দুই জোরে বোলার ক্রিস জর্ডন এবং ডোয়েন ব্র্যাভোকে আক্রমণে আনা হল সব শেষে।
প্রথমত, ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটারদের কোনও বোলারের বিরুদ্ধেই থিতু হওয়ার সুযোগ দেওয়া হল না। দ্বিতীয়ত, উইকেটে এসেই কোনও ব্যাটারের পক্ষে স্পিনারদের সামলানো তুলনায় কঠিন। তৃতীয়ত, স্পিনারদের বলের গতি কম হওয়ায়, শুধু প্লেসিং করে বড় রান পাওয়া সহজ নয়। চতুর্থত, শিশিরে বল ভিজে গেলে স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে। শুরুতে বল ভেজার আগে মইন, থিকশানাদের আক্রমণে এনে সেই সমস্যারও সমাধান করা হল।
চেন্নাইয়ের এই চালে আটকে গিয়েই ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটারদের উপর চাপ বেড়ে পাহাড় প্রমাণ হল। ওভার প্রতি রানের লক্ষ্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। সেই চাপেই কার্যত হার স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল ব্যাঙ্গালোর। চেন্নাইয়ের পরিকল্পনা থেকেই পরিষ্কার এই চাল কোনও ক্ষুরধার এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেট মস্তিষ্কের। পরিষ্কার তুখোড় নেতৃত্বের ছবি। কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।