আকাশের বয়স ২৫ বছর। কেরিয়ারের অনেকটা বাকি তাঁর জীবনে। এমন অবস্থায় আইপিএল থেকে বিরাট অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরেন বলেই জানালেন তিনি। আকাশ বললেন, “আইপিএল খেলা একটা অভিজ্ঞতা। মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠি আইপিএলে। নিজের একটা পর্যালোচনা করা যায়। খেলা কতটা বুঝতে পারছি সেটাও বোঝা যায়। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে কতটা বুঝতে পারছি সেটা বোঝা যায়। নিজের উপর বিশ্বাস তৈরি হয় আইপিএলে খেললে।”
ব্যাঙ্গালোর আকাশের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো। —ফাইল চিত্র
গত বারও তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে। আইপিএল তাঁর কাছে নতুন নয়। তবে এ বার একটা জিনিস পাল্টে গিয়েছে। আরসিবি দলের নেতা হিসেবে আর নেই বিরাট কোহলী। ‘রাজার মুকুট রাজার সাজ, অন্য কেউ তা পরবে আজ’। পরবেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি। নতুন অধিনায়ক সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন আকাশ দীপ।
বাংলার পেসার আকাশ বললেন, “আমি ভাগ্যবান ডুপ্লেসিকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে। এমন এক জন অধিনায়কের অধীনে খেলতে পেরে দারুণ লাগছে। প্রচণ্ড সাহায্য করে ডুপ্লেসি। ওর সঙ্গে খেলার একটা সুবিধা আছে। নিজেই সব পরিকল্পনা করে জানিয়ে দেয় ডুপ্লেসি। দলে আমার কাজ কী সেটা পরিষ্কার করে দিচ্ছে। এর ফলে চাপ কম থাকছে। খুব মজা লাগছে ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে।”
আইপিএলের আগে বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলছিলেন আকাশ। লাল বলের ক্রিকেট থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেমে পড়তে হচ্ছে কয়েক দিনের ব্যবধানে। ২৫ বছরের তরুণ পেসার বললেন, “এখানে প্রচুর অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি। নেটে অনুশীলন করেছি। ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটাই প্রয়োজন। লাল বল থেকে সাদা বলে খেলার জন্য মানসিক পরিবর্তনটা প্রয়োজন। আমার মনে হয় দুটো সেশন যথেষ্ট সেই পরিবর্তনের জন্য। আমার মনে হয় আমি সাদা বলের জন্য তৈরি।”
আইপিএলের আগে বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলছিলেন আকাশ। —ফাইল চিত্র
বিরাট কোহলী এ বারের দলে চিন্তা মুক্ত ব্যাটার। নেতৃত্বের বোঝা কাঁধ থেকে নামিয়ে রেখেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্ত অন্যতম বড় নাম বিরাট। তাঁর সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতাও জানালেন আকাশ। তিনি বললেন, “সামনাসামনি কথা বললে বোঝা যায় না ও কত বড় ক্রিকেটার। আমাদের সঙ্গে একদম সাধারণ ভাবেই মেশে। নিজে থেকে এসে কথা বলে আমাদের সঙ্গে। বেশ ভাল লাগে। আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।”
আকাশের বয়স ২৫ বছর। কেরিয়ারের অনেকটা বাকি তাঁর জীবনে। এমন অবস্থায় আইপিএল থেকে বিরাট অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরেন বলেই জানালেন তিনি। আকাশ বললেন, “আইপিএল খেলা একটা অভিজ্ঞতা। মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠি আইপিএলে। নিজের একটা পর্যালোচনা করা যায়। খেলা কতটা বুঝতে পারছি সেটাও বোঝা যায়। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে কতটা বুঝতে পারছি সেটা বোঝা যায়। নিজের উপর বিশ্বাস তৈরি হয় আইপিএলে খেললে।”
ব্যাঙ্গালোর আকাশের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো। সেই দলের খেলা রবিবার। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নামবেন তাঁরা। সেই ম্যাচের আগে কতটা উত্তেজিত আরসিবি? আকাশ বললেন, “প্রথম ম্যাচের আগে চাপ থাকা স্বাভাবিক। সেটা থাকলে ক্রিকেটাররা বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে। তবে আমার মনে হয় না দলের মধ্যে কেউ বাড়তি চাপ নিচ্ছে। সবাই ম্যাচ নিয়ে ভাবছে।”
আকাশের মাথায় এখন প্রথম একাদশে ঢোকার চিন্তা। বাংলার পেসার বললেন, “নিলামে যখন আমাকে আরসিবি নিল, খুব আনন্দ হয়েছিল। কিন্তু সেটা বড় ব্যাপার নয়। প্রথম একাদশে ঢোকাটা অনেক বড়। সেখানে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরাটা বড়। আমার মাথায় এখন এটাই ঘুরছে। আমি খেলাটা উপভোগ করি। মাঠে নেমে আরসিবি-র হয়ে খেলাটাই আমার এখন প্রধান লক্ষ্য।”
সুযোগের অপেক্ষায় থাকলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই ভাবতে বসছেন না আকাশ। তিনি বললেন, “আমি খুব দূরের জিনিস নিয়ে ভাবি না। আমার মনের মধ্যে এখন একটাই জিনিস চলছে, যে দিন মাঠে নামব, সে দিন যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। তার পর ভাবব আগামী দিন নিয়ে।”