আবার ম্যাচ জেতালেন ধোনি ছবি আইপিএল
যখনই দলের তাঁকে দরকার পড়ে, তখনই তিনি হাজির হন। বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, তাঁর বোধহয় আগের মতো আর ম্যাচ জেতানোর দক্ষতা নেই। কিন্তু সব জল্পনা, ভাবনা ধূলিসাৎ করে দিলেন তিনি। এখনও যে একার হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন, সেটা প্রমাণ করে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফলে আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে তিনিই ম্যাচের সেরা।
স্কোরবোর্ডে বেশি রান না থাকলেও এক সময় মনে হচ্ছিল প্রথম জয় পাওয়ার কাছাকাছি চলে গিয়েছে চেন্নাই। অম্বাতি রায়ডু ছাড়া চেন্নাইয়ের কোনও ব্যাটারই বড় রান পাননি। ১৭ ওভারের শেষে চেন্নাইয়ের জিততে দরকার ছিল ৪২ রান। ধোনি তখন থেকেই হিসেব করে রেখেছিলেন জয়ের জন্য কার ওভার বেছে নেবেন। সেই মতো ১৮তম ওভারে জয়দেব উনাদকাটের ছ’টি বল থেকে এল ১৪ রান। পরের ওভারে বুমরা দিলেন মাত্র ১১। শেষ ওভারে দরকার ১৭।
ধোনি এই মুহূর্তেরই অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানেন চাপে পড়লে উনাদকাট ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেন না। তাই হল। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক নিলেন ধোনি। সেই বল উড়ে গেল লং অফে। পরের বলেই পুল করে চার। পঞ্চম বল ফুল লেংথে ছিল। মিড উইকেটে মেরে দু’রান নিলেন ধোনি। শেষ বলে দরকার চার রান। লেগ স্টাম্পে ইয়র্কার দিতে গিয়েছিলেন উনাদকাট। ধোনি আগে থেকেই সেটা বুঝে নিয়ে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারিতে।
নামে রবীন্দ্র জাডেজা অধিনায়ক হলেও বকলমে তিনিই যে গোটা দল চালাচ্ছেন, এটা আগেই প্রমাণ করেছিলেন তিনি। এ দিনের ম্যাচে ফিনিশার হিসেবে নতুন করে আবির্ভূত হওয়ার আগেও একাধিক বার ধোনির নেতৃত্বের ছাপ দেখা গেল। প্রথম ওভারে তাঁর নির্দেশেই জাডেজা নিয়ে এলেন মুকেশ চৌধরিকে। ধোনি জানেন বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার দুর্বলতা। ফলও মিলল হাতেনাতে। এর পর কায়রন পোলার্ড ব্যাট করতে আসার সময় ধোনি শিবম দুবেকে রেখেছিলেন ঠিক বোলারের সোজাসুজি বাউন্ডারি লাইনে। ঠিক সেখানেই ক্যাচ তুললেন পোলার্ড।