লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র।
লোকেশ রাহুলকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বলা হয়েছিল শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলতে পারবেন না রাহুল। সেই শর্তেই তাঁকে আইপিএল খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই গ্লাভস হাতে তুলে নিলেন রাহুল। বোর্ডের শর্ত না মেনেই খেললেন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশনের পর আরও এক ক্রিকেটার বোর্ডের শর্ত মানলেন না।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলতে পারেননি রাহুল। তাঁর চোট ছিল। আইপিএলের আগে সুস্থ হয়ে উঠলেও বোর্ড জানিয়েছিল, রাহুল পুরোপুরি সুস্থ নন। তিনি ব্যাট করতে পারবেন কিন্তু উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলতে পারবেন না। ম্যাচ শুরুর আগে সে কথা বলেন লখনউ দলের আরও এক উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক। তিনি বলেন, “আমি কারণ জানি না, তবে আমাকে বলা হয়েছে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে রাহুল উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলবে না। দলের সিদ্ধান্ত যারা নেয়, আমি তাদের মধ্যে নই। ফলে সঠিক কারণ বলতে পারব না।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বোর্ডের কর্তা বলেছিলেন রাহুল আইপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলতে পারবেন না। তিনি বলেছিলেন, “এনসিএ রাহুলকে আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে। লখনউ দলে ২০ মার্চ যোগ দেবে। তার পরে জয়পুরে প্রথম ম্যাচ খেলতে উড়ে যাবে। শোনা যাচ্ছে প্রথম দিকে ওকে সামনে ঝুঁকতে বারণ করা হয়েছে। কয়েকটা ম্যাচ পরেই ও কিপিং করতে পারবে। প্রথম কয়েকটা ম্যাচে ও শুধু ব্যাটার হিসাবেই খেলবে।”
রাহুল সেই শর্ত মানেননি। এর আগে বোর্ডের কথা শোনেননি শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশন। বোর্ড তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। রাহুলের বিরুদ্ধে বোর্ড কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না সেই দিকে নজর থাকবে। কিন্তু রাহুল বোর্ডের কথা না শুনে উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলছেন কেন? এর নেপথ্যে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
আইপিএলের পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নির্বাচকেরা আইপিএল দেখেই বিশ্বকাপের দল বেছে নেবেন। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বকাপে শুধু ব্যাটার হিসাবে জায়গা পাওয়া কঠিন। রাহুল টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেন। কিন্তু ভারতীয় দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমন গিলের মতো ওপেনারেরা রয়েছেন। সেখানে রাহুলের জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু ভারতীয় দলে এখনও উইকেটরক্ষকের জায়গা পাকা নয়। রাহুল উইকেটরক্ষক হিসাবেও নিজেকে তৈরি রাখছেন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্যই রাহুল শুরু থেকেই উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলছেন বলে মনে করছেন অনেকে।