এ বারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ধোনিদের প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্স। ছবি: আইপিএল
এ যেন অনেকটা ফুটবলের মতোই। ফুটবলে যেমন খেলার মাঝে পাঁচ ফুটবলারকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো যায়, ক্রিকেটেও চালু হয়েছে এই নিয়ম। এ বারের আইপিএলে দেখা যাবে এই ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর নিয়ম। তবে ফুটবল ও ক্রিকেটের নিয়মে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ফুটবলে যেমন পাঁচ ফুটবলারকেই পরিবর্ত হিসাবে নামানো যায়, ক্রিকেটে কিন্তু নামানো যাবে মাত্র এক জনকে। তবে তালিকায় থাকবেন পাঁচ ক্রিকেটার।
এ বারের আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টসের আগে অধিনায়কদের প্রথম একাদশ প্রকাশ করার দরকার নেই। টসের পরে অধিনায়করা নিজেদের মধ্যে প্রথম একাদশ অদল-বদল করে নেবেন। অর্থাৎ, টসের উপর নির্ভর করে অধিনায়করা ঠিক করতে পারবেন প্রথম একাদশে কাদের খেলাবেন। তবে ম্যাচ চলাকালীন যে কোনও মুহূর্তে এক জন ক্রিকেটারকে বদল করা যাব। অর্থাৎ, এক জনের বদলে অন্য জনকে নামানো যাবে। সেটা যে কোনও ক্রিকেটার হতে পারেন। অর্থাৎ, এক ব্যাটারকে তুলে এক বোলার বা এক বোলারকে তুলে এক ব্যাটারকেও নামানো যাবে। তবে যাকে তুলে নেওয়া হবে, তিনি আর সেই ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে যাকে ইচ্ছা নামাতে পারবেন না অধিনায়ক। টসের পরে প্রথম একাদশের তালিকার পাশাপাশি ৫ জন পরিবর্ত ক্রিকেটারের তালিকাও জমা দিতে হবে অধিনায়কদের। সেই পাঁচ জনের মধ্যেই এক জনকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামাতে হবে। তালিকার বাইরে থাকা কোনও ক্রিকেটারকে নামানো যাবে না। আবার এক জন বিদেশির বদলে এক জন দেশি ক্রিকেটারকে নামানো যাবে। কিন্তু এক জন দেশি ক্রিকেটারের বদলে বিদেশিকে নামানো যাবে না (যদি না প্রথম একাদশে তিন জন বিদেশি ক্রিকেটার থাকেন)। কারণ, দলে এক সময়ে চার জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলানো যাবে না।
ম্যাচের যে কোনও মুহূর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকে নামানো গেলেও সাধারণত দ্বিতীয় ইনিংসেই তাঁদের নামার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, প্রথমে যে একাদশ কোনও দল ঘোষণা করছে সেটা টসের ফলের উপর নির্ভর করে করছে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে দলে বদলের বেশি প্রয়োজন। প্রথম ম্যাচে সেটাই দেখা গেল। চেন্নাই সুপার কিংস অম্বাতি রায়ডুর বদলে তুষার দেশপান্ডে ও গুজরাত টাইটান্স কেন উইলিয়ামসনের বদলে সাই সুদর্শনকে নামালেন। কিন্তু দু’টি বদলই হয় দ্বিতীয় ইনিংসে।