রণবীর সমালোচিত হতেই এগিয়ে এলেন আলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ বছর একত্রবাসের পর ২০২২ সালে বিয়ে করেন রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্ট। সেই বছর নভেম্বরেই দম্পতির কোলে এসেছে সন্তান। এখন মেয়ে রাহাকে নিয়ে সংসার রণবীর ও আলিয়ার। জনসমক্ষে নিজেদের প্রেমে সিলমোহর দেওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে একে অপরকে নিয়ে সাবলীল ভাবে কথা বলেন আলিয়া ও রণবীর। কোনও প্রকার জড়তা ছাড়াই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরেন অনুরাগীদের সামনে। তাঁকে বিয়ে করে নিজের ব্যক্তিত্বে বদলে এনেছেন আলিয়া, নিজের গলার স্বর নিচু করেছেন। এমনকি স্বামী লিপস্টিক পরা পছন্দ করেন না বলে কাজের বাইরে সাজগোজেও বদল এনেছেন তিনি— এ সব কথাও জানিয়েছেন আলিয়া। আগে বেশ কয়েক বার আলিয়াকে নিয়ে জনসমক্ষে ঠাট্টা করেছেন রণবীর। এ বার ঠাকুরদা রাজ কপূরের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে অভিযোগ উঠল রণবীর নাকি স্ত্রীকে অবহেলা করেছেন। কিন্তু স্বামীর নামে অপবাদ ছড়াতেই রক্ষাকবচ হয়ে পাশে দাঁড়ালেন আলিয়া!
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে আলিয়াকে হাত টেনে পাশে বসাচ্ছেন রণবীর, কখনও আবার জেঠু রণধীর কপূরকে হাত ধরে উঠতে সাহায্য করছে। এই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা, “রণবীরের যে দিকটা সমাজমাধ্যমে উপেক্ষিত।” এই ভিডিয়োতে লাইক দিয়েছেন আলিয়া নিজে।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানান, রণবীরের মানসিকতা নাকি একেবারেই সাধু-সন্তদের মতো। কখনও গলার আওয়াজ তুলে কথা বলেন না তিনি। আর আলিয়া রেগে গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করলে নাকি তাতে বিরক্ত হন রণবীর। সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় আলিয়া বলেন, “কোনও কাজে কারও বিচ্যুতি দেখলেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আর আমার গলার আওয়াজ বেড়ে গেলে রণবীর তা একদমই পছন্দ করে না।” আলিয়া কথাটা সরল ভাবে বললেও নেটাগরিকরা ভাল চোখে নেননি। তাঁরা রণবীরের খবরদারি করার স্বভাব নিয়ে নানা কথা বলতে থাকেন। অবশেষে রণবীর নিজেই স্বীকার করলেন তাঁর জন্য আলিয়া নিজের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন করেছেন। সেই সময়ও কর্ণ জোহরের শোয়ে এসে আলিয়া জানান, তার স্বামীকে সকলে ভুল বোঝে। আসলে মানুষটাই অন্য রকম।