—ফাইল চিত্র
মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয়। প্লে-অফে ওঠার রাস্তা এখনও খুলে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কঠিন, কিন্তু সম্ভব। নাইটদের আইপিএলে প্লে-অফে উঠতে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে হবে, সেই সঙ্গে অন্য ম্যাচগুলির দিকেও নজর রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক নাইটদের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক কী?
চেন্নাই সুপার কিংসকে চেন্নাইয়ের মাঠে হারানো কঠিন ছিল। সেই কাজটা করার পর কলকাতার পরের লক্ষ্য অবশ্যই নিজেদের ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারানো। সেটাই দুই দলের শেষ ম্যাচ। লখনউ তার আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে। কলকাতা চাইবে ওই ম্যাচে হেরে যাক লখনউ। কারণ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ক্রুণাল পাণ্ড্যরা জয় তুলে নিলেই তাদের ১৫ পয়েন্ট হয়ে যাবে। তাতে কেকেআরের পক্ষে আর সম্ভব হবে না প্লে-অফের দরজা খোলা। তাই কলকাতার সমর্থকদের কাছে প্রথম আশা মঙ্গলবার হেরে যাক লখনউ।
ক্রুণালরা মঙ্গলবার হেরে গেলে মুম্বই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। তাতে রোহিতদের প্লে-অফে ওঠার পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গুজরাত টাইটান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বইকে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেদের ম্যাচে হারতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বলা যায় প্লে-অফে চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই করছে কলকাতা-সহ একাধিক দল। এদের মধ্যে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লখনউ সব থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেদের দু’টি ম্যাচে হেরে গেলে এবং বাকি দলগুলি ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেলে লড়াই হবে নেট রানরেটে। সেই লড়াইয়ে কলকাতা (-০.২৫৬) বাকিদের তুলনায় একটু পিছিয়ে। তাদের আর একটি ম্যাচ বাকি থাকায় খুব ভাল জায়গায় নেট রানরেট নিয়ে যাওয়ার সুযোগও নেই।
কলকাতা ইডেনে খেলবে পরের শনিবার। ২০ মে সেই ম্যাচের আগেই কলকাতার প্লে-অফে ওঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যদি সুযোগ তৈরি হয় তা হলে রিঙ্কু সিংহরা যে সেই ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দেবেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন চেন্নাইয়ের মাঠেই।