অসাধারণ ব্যাট করলেন মিলার এবং মনোহর। — ফাইল চিত্র
প্রথমে শুভমন গিল। তার পরে ডেভিড মিলার এবং অভিনব মনোহর। তিন ব্যাটারের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ভর করে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০৭-৬ তুলল গুজরাত। শেষ দিকে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন রাহুল তেওটিয়াও। শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান তুলল গুজরাত।
বলে শুরুটা দারুণ করে মুম্বই। প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দেন অর্জুন তেন্ডুলকর। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেই তিনি তুলে নেন ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট। অর্জুনের বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে গ্লাভসে লেগে বল উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। আম্পায়ার আউট দিলে ঋদ্ধি রিভিউ নেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। দেখা যায়, সূক্ষ্ম ভাবে বল তাঁর গ্লাভস স্পর্শ করেছে।
শুরুতেই উইকেট পড়ে যাওয়ায় নিজেকে উপরে তুলে আনেন হার্দিক। চালিয়ে খেলছিলেন প্রথম থেকেই। যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছিলেন শুভমন গিল। ক্যামেরন গ্রিনের একটি ওভার থেকে ১৭ রান আসে। কিন্তু সপ্তম ওভারে হার্দিককে ফেরান পীযূষ চাওলা। ছক্কা মারতে চেষ্টা করা হার্দিকের ক্যাচ বাউন্ডারিতে ধরেন সূর্যকুমার যাদব।
মাঝে কুমার কার্তিকেয়র একটি ওভার বাদ দিয়ে গুজরাতের রান তোলার গতি কমে গিয়েছিল। ফিরে যান বিজয় শঙ্কর। অভিনব মনোহর ক্রিজে আসার পর থেকে তবু রান তোলার গতি একটু বাড়তে থাকে। অর্ধশতরান করে তার আগেই ফিরে গিয়েছিলেন শুভমন গিল (৫৬)। মনোহর এবং ডেভিড মিলার মিলে মুম্বই বোলারদের উপরে চাপ বাড়াতে থাকেন।
২১ বলে ৪২ করে রিলি মেরেডিথের বলে ফিরে যান মনোহর। তত ক্ষণে মিলারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়া হয়ে গিয়েছে। তেওটিয়া নেমে প্রথম বলেই ছয় মারেন। উল্টো দিকে আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যান মিলারও। তাঁদের দাপটে দুশো পেরিয়ে যায় গুজপাতের ইনিংস।