হার্দিক পাণ্ড্যরা যশের জন্য নাচ-গানের ব্যবস্থা করেন। —ফাইল চিত্র
যশ দয়াল তাঁর করা শেষ ওভারটা ভুলতে চাইবেন। রবিবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে বল করতে এসে উত্তরপ্রদেশের পেসার পাঁচটি ছক্কা হজম করেন। রিঙ্কু সিংহের দাপটে যশের বিধ্বস্ত অবস্থা হয়। এমন অবস্থায় তিনি দলের কাছে খলনায়ক হয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু সেটা হয়নি। যশের বাবা জানিয়েছেন যে, হার্দিক পাণ্ড্যরা যশের জন্য নাচ-গানের ব্যবস্থা করেন।
যশের বাবা চন্দ্রপল জানিয়েছেন যে, গুজরাতের অধিনায়ক হার্দিকরা যশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কলকাতার বিরুদ্ধে হারের পর হোটেলে ফিরে যশের মন ভাল করার জন্য নাচ-গানও করেছে গুজরাত। চন্দ্রপল বলেন, “হোটেলে ফিরে সকলের মাঝখানে বসিয়ে যশকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে গুজরাত। পরে নাচ-গানও করে সকলে মিলে।”
গুজরাতের পরের ম্যাচ ১৩ এপ্রিল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মোহালিতে হবে সেই ম্যাচ। কলকাতার পরের ম্যাচ ১৪ এপ্রিল। ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
রবিবারের ম্যাচে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত এবং কলকাতা। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত তোলে ২০৪ রান। বিজয় শঙ্কর করেন ৬৩ রান, সাই সুদর্শন করেন ৫৩ রান। তাঁদের দাপটে ম্যাচ প্রায় পকেটে পুড়ে নেয় গুজরাত। ব্যাট করতে নেমে কলকাতা ২৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায়। বেঙ্কটেশ আয়ার এবং নীতীশ রানা প্রথমে কলকাতাকে ম্যাচে ফেরায়। দু’জনে ১০০ রানের জুটি গড়েন। তার পরেও ম্যাচটি হেরে যেতে পারত কলকাতা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। সেই ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান রিঙ্কু। ম্যাচটিই ঘুরিয়ে দেন তিনি।