রবিবারের ম্যাচের পর কোহলি এবং গম্ভীর। ছবি: আইপিএল
ইডেন গার্ডেন্সে রবিবার টান টান ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে এক রানে হারিয়েছে কলকাতা। বড় রানের বোঝা নিয়ে খেলতে নেমেও যে ভাবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে বেঙ্গালুরু, তাতে মুগ্ধ গৌতম গম্ভীর। ম্যাচের পর কেকেআরের মেন্টর এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) সাত শব্দে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
গম্ভীর লিখেছেন, “আরসিবি আজ দারুণ অসাধারণ মানসিকতার পরিচয় দিল।” ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে যে ভাবে গোটা ম্যাচে লড়াই করেছে আরসিবি, সেটারই প্রশংসা করেছেন গম্ভীর। ম্যাচের পর তাঁকে দেখা গিয়েছে আরসিবি-র ক্রিকেটারদের প্রশংসা করতে। বিরাট কোহলিকেও জড়িয়ে ধরেন তিনি।
রবিবারের ম্যাচে যিনি কেকেআরকে জিতিয়েছেন, সেই আন্দ্রে রাসেল খুশি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরে। ম্যাচের পর রাসেল বলেছেন, “বোলিংয়ের হিসাব-নিকাশের সময় আমি তৈরি ছিলাম ১৯তম ওভার করার জন্যই। চেষ্টা করছিলাম যাতে মিচেল স্টার্কের শেষ ওভারটায় ওদের যতটা সম্ভব বেশি রান তাড়া করতে হয়। নিজে কম রান দিতে চেয়েছিলাম। কার্তিক কিছুতেই স্ট্রাইক বদলাচ্ছিল না। তাই বোলিংয়ে বৈচিত্র এনে ছ’টা বল ওকেই করব ঠিক করেছিলাম। সেটা সফল হয়েছে দেখে খুশি হয়েছি।”
রাসেলের সংযোজন, “বোলার হিসাবে এ রকম পারফরম্যান্স করতে চাই। স্লোয়ার বল থেমে থেমে আসছে, এটা লক্ষ করেছিলাম। সেটা কাজে লাগিয়ে দু’জন সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটারকে আউট করতে পেরে খুশি। ওটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তবে নারাইনের দুটো উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ। ওটার পরেই আরসিবি-র ব্যাটিং ধস শুরু হয়ে যায়।”
শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ক আর একটু হলেই হারিয়ে দিচ্ছিলেন কেকেআরকে। তবে দলের বোলারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। কেকেআর অধিনায়ক বলেছেন, “৬ বলে ১৮ রানের দরকার থাকলে, চাপ সব সময় বোলারের উপর থাকে। একটা ছক্কা হলে চাপ আরও বেড়ে যায়। সেই সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। আগের বলের কথা ভাবতে নেই। পরের বলে ব্যাটারকে কোন দিকে মারতে বাধ্য করব, সেটা ভেবে নিতে হয়। আন্দ্রে রাসেল ম্যাচটা আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দিল।”