মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হারল কেকেআর। —ফাইল চিত্র
ওয়াংখেড়েতে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হারল তারা। কেকেআরের হয়ে বেঙ্কটেশ আয়ার শতরান করেন। তার পরেও জিততে পারল না কলকাতা। সেই হারের পাঁচ কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
নাইটদের ব্যাটিং ব্যর্থতা
বেঙ্কটেশ ছাড়া কলকাতার কোনও ব্যাটার রান পাননি। আন্দ্রে রাসেল ১১ বলে ২১ রান করেন। সেটাই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। দুই ওপেনার ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। নারায়ণ জগদীশন তো কোনও রানই পাননি। অধিনায়ক নীতীশ রানা মাত্র ৫ রান করেন। শার্দূল ঠাকুর করেন ১৩ রান। ধারাবাহিক ভাবে রান করা রিঙ্কুও এই ম্যাচে রান পাননি। তিনি মাত্র ১৮ রান করেন। এর ফলে বেঙ্কটেশ একা ১০৪ রান করলেও দল থেমে যায় ১৮৫ রানে।
রান নেই গুরবাজ়ের ব্যাটে
আইপিএলে প্রথম ম্যাচে ২২ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৭ রানের পর আর রান নেই আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষকের ব্যাটে। কলকাতার হয়ে পাঁচটি ম্যাচে ওপেন করলেন গুরবাজ়। এখনও পর্যন্ত তিনি করেছেন ১০২ রান। তাঁকে বসিয়ে লিটন দাসকে খেলানো হবে কি না সেই আলোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারকে এখনও দেখা যায়নি। আগামী ম্যাচে গুরবাজ়ের জায়গায় লিটনকে খেলতে দেখলে খুব অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ছন্দহীন রাসেলকে খেলানো
কলকাতা দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল। বহু ম্যাচ তিনি একা জিতিয়েছেন। ব্যাটে, বলে তাঁর বিকল্প পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এ বারের আইপিএলে ছন্দে নেই তিনি। রান করতে পারছেন না। বলও বেশি করানো হচ্ছে না তাঁকে। এমন এক জন ক্রিকেটারকে খেলিয়ে বিপদে পড়ছে কেকেআর। রাসেলের জায়গায় ডেভিড উইজ়িকে খেলানো যেতে পারে। অথবা যদি শুধু ব্যাটার খেলানোর পরিকল্পনা থাকে তা হলে রয়েছে জেসন রয়।
নির্বিষ বোলিং
কলকাতার বোলিং আক্রমণে কোনও বৈচিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। একই পরিকল্পনায় খেলে যাচ্ছে কেকেআর। টিম সাউদি ব্যর্থ হওয়ায় আনা হয় লকি ফার্গুসনকে। কিন্তু তিনি তেমন ভাবে নজর কাড়তে পারছেন না। সুযশ শর্মা চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা কেউই আক্রমণাত্মক হতে পারেননি। ব্যর্থ মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে শার্দূল ঠাকুরও। প্রতি ম্যাচে একই দল ধরে রাখার চেষ্টা করছে কলকাতা। কিন্তু তাতে বোলিং আক্রমণ ধারাল হচ্ছে না।
মুম্বইয়ের ব্যাটিং
রোহিত শর্মা এই ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামেন। তিনি ১৩ বলে ২০ রান করেন। ঈশান কিশন ২৫ বলে ৫৮ রান করেন। রানে ফিরলেন ছন্দ হারানো সূর্যকুমারও। ২৫ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিলক বর্মা। কেকেআরের বেঙ্কটেশের শতরানের জবাবে মুম্বইয়ের সব ব্যাটারই অল্প অল্প করে রান করে যান। বিন্দু বিন্দুতে রানের সিন্ধু গড়ে ফেললেন মুম্বইয়ের ব্যাটাররা।