রবিবারের ইডেন ভর্তি হলুদ জার্সিতে। ছবি: টুইটার
হলুদ হয়ে গিয়েছে ইডেনের দর্শকাসন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ব্যাট করতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জন্য জয়ধ্বনি। গ্যালারিতে ধোনির জার্সি, চেন্নাইয়ের পতাকা ভর্তি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফে ম্যাচ শুরুর আগে ফ্ল্যাগ রাখা হয়েছিল আসনগুলিতে। কিন্তু সে সব ওড়ানোর লোক পাওয়া গেল না। কেউ আসনের উপর পতাকাগুলি পেতেই বসলেন, কারও আসনের পাশে পড়ে রইল পতাকাগুলি। ধোনির জন্যই এমন হল, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ?
রবিবারের ম্যাচে ধোনি সমর্থকরা যে আসবেন সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। খেলা শুরুর আগেই মাঠের ধারে হলুদ জার্সির ভিড় দেখা যাচ্ছিল। জার্সি, পতাকা বিক্রিও হচ্ছিল চেন্নাইয়ের বেশি। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কেকেআরের সমর্থকদের। বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে যেমন ইডেন ভাগ হয়ে গিয়েছিল, রবিবার পুরোটাই চেন্নাইয়ের দখলে চলে গেল। চেন্নাই ব্যাট করার সময় চিৎকার হল। ধোনি মাঠে নামতে চিৎকার হল। কেকেআর ব্যাট করার সময় বেঙ্কটেশ আয়াররা আউট হলে চিৎকার শোনা গেল। জেসন রয় এসে ছক্কা হাঁকাতে শান্ত হয়ে গেল ইডেন। আদৌ খেলাটা কলকাতার ইডেনে হচ্ছে নাকি চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকে সেটাই বোঝা দায় হল।
একের পর এক ম্যাচ হেরে চলেছে কলকাতা। এ বারের আইপিএলে হার দিয়ে শুরু করেছিল নাইটরা। ঘরের মাঠে বিরাটের আরসিবি-কে হারিয়ে জয়ে ফেরা এবং আমদাবাদে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংহের ঝড়ে ম্যাচ জেতার পর হারের হ্যাটট্রিক করেছিল কেকেআর। তাতেই কি ধীরে ধীরে কলকাতা সমর্থন হারাচ্ছে? দলে এমন কোনও বড় নাম নেই যাঁর জন্য মাঠ ভরবে। সুনীল নারাইন বা আন্দ্রে রাসেলরা এখন আর আগের মতো ভয়ঙ্কর নন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেও জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার বলতে ছিলেন শুধু শ্রেয়স আয়ার। তিনি অসুস্থ। শার্দূল ঠাকুর নিয়মিত ভারতীয় দলে খেলেন না। বাকি আর কেউই ভারতীয় দলের মুখ নন। উমেশ যাদব বা বেঙ্কটেশ আয়াররা এক সময় জাতীয় দলে খেললেও মাঠ ভরবে না তাঁদের নামে।
ধোনি, বিরাট, রোহিতদের নামে যেমন ভরে সেই ক্ষমতা কেকেআরের কারও নেই। এমন অবস্থায় প্রয়োজন ছিল জয়ের। একের পর এক ম্যাচ জিতলে সমর্থনও বাড়ত। কিন্তু সেটাই পারছে না চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দল। তাই সময় যত যাচ্ছে, তত চাহিদা কমছে কেকেআরের। আরসিবি বা সিএসকে ম্যাচের টিকিটের জন্যই তাই যত হাহাকার দেখা যাচ্ছে। অন্য ম্যাচের টিকিট নিয়ে তেমন উন্মাদনা নেই।