নিজের নামাঙ্কিত সাজঘরের সামনে কোহলি। ছবি: আইপিএল।
ঘরের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে খোশ মেজাজে রয়েছেন বিরাট কোহলি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ২২ গজেও তাঁর সেই মেজাজ দেখলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করলেন কোহলি।
ওপেন করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। যদিও তাঁর দাপুটে ইনিংস শেষ হল ৩২ বলে ৪৫ রানে। মিচেল মার্শের বলে আউট হওয়ার আগে মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছয়। তিন নম্বরে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রান পেলেন না। জাতীয় দলের সতীর্থ মার্শ তাঁকে প্রথম বলেই আউট করে দিলেন।
চেনা উইকেটের এক দিক আগলে রেখেছিলেন কোহলি। নিজের নামাঙ্কিত সাজঘর থেকে ব্যাট করতে নামার আগে ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মার পায়ে হাত দিয়ে প্রমাণ করেন কোহলি। গুরুর আশীর্বাদ নিয়ে কোহলি করলেন ৪৬ বলে ৫৫ রান। ঘরের মাঠে ছয় মারতে পারলেন না একটাও। গ্যালারির প্রায় অবিরাম কোহলি-কোহলি চিৎকারের জবাবে মারলেন ৫টি চার। একই সঙ্গে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। চার নম্বরে নেমে কোহলির সঙ্গে জুটি তৈরি করলেন মাহিপাল লোমরোর। তাঁদের জুটি দিল্লি মন্থর উইকেটে বেঙ্গালুরুকে পৌঁছে দিল লড়াই করার মতো জায়গায়। কোহলি আউট হওয়ার পর দাপুটে ব্যাটিং শুরু করেন লোমরোর। তিনি করলেন ২৯ বলে ৫৪ রান। অপরাজিত ইনিংসে মারলেন ৬টি চার এবং ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন অনুজ রাওয়াত (৮)।
বেঙ্গালুরুর রান আরও কিছুটা বেশি হতে পারত। কিন্তু গত বছরের ছন্দে দেখা যাচ্ছে না দীনেশ কার্তিককে। শনিবারও স্লগ ওভারে ঝড় তুললে ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। ৯ বলে ১১ রান করলেন তিনি। আরসিবির ইনিংস থামল ৪ উইকেটে ১৮১ রানে।
দিল্লির কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। ডেভিড ওয়ার্নারের দলের সফলতম বোলার মার্শ ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩০ রানে ১ উইকেট বাংলার মুকেশ কুমারের। ৪৫ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন খলিল আহমেদ।