ঘটনার পরে একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় জশ বাটলার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লাসিথ মালিঙ্গা, কুমার সঙ্গকারা থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের অনেকে নেটমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা দলের সমালোচনা করছেন। যদিও এই ঘটনায় সঞ্জুর নিন্দা করেন অনেক সমর্থক। তাঁরা বলেন, মজাকে মজার মতো নেওয়া উচিত ছিল হত সঞ্জুর। তা হলে এত গুলো লোকের চাকরি যেত না।
বিতর্কের মুখে রাজস্থান শিবির ছবি: টুইটার।
শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের একটি টুইট ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। দলের টুইটারে তাঁর একটি ছবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তার পরেই রাজস্থান জানায়, নেটমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা দলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিটিও মুছে ফেলা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরে জানা গেল, পুরো ঘটনাটাই নাকি সাজানো। মজা করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই ঘটনার পরেও বিতর্কের মুখে রাজস্থান। ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে একটি দলের এই ধরনের মজা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
কী হয়েছিল শুক্রবার?
রাজস্থান রয়্যালসের টুইটার অ্যাকাউন্টে বাসের মধ্যে বসে থাকা সঞ্জুর একটি ছবি এডিট করে প্রকাশ করা হয়। সেই ছবিতে অনেকে মজা পেলেও ঘটনাটি ভাল ভাবে নেননি রাজস্থানের অধিনায়ক। তিনি সরাসরি গিয়ে পোস্টের তলায় মন্তব্য করেন, ‘বন্ধুরা এই কাজ করলে ঠিক আছে। কিন্তু দলকে আরও পেশাদার হতে হয়।’
এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক হয়
সঞ্জুর এই মন্তব্যের পরে তড়িঘড়ি রাজস্থানের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘এই ঘটনার পরে নেটমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা দলকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলের পরিবেশ একদম ঠিক আছে। প্রথম ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। আগামী দিনে দলের ডিজিটাল পরিকল্পনা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সমর্থকদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখবে ফ্র্যাঞ্চাইজি।’
ঘটনার পরে একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় জশ বাটলার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লাসিথ মালিঙ্গা, কুমার সঙ্গকারা থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের অনেকে নেটমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা দলের সমালোচনা করছেন। যদিও এই ঘটনায় সঞ্জুর নিন্দা করেন অনেক সমর্থক। তাঁরা বলেন, মজাকে মজার মতো নেওয়া উচিত ছিল হত সঞ্জুর। তা হলে এত গুলো লোকের চাকরি যেত না।
কিন্তু শনিবারই বদলে যায় পুরো ছবিটা। রাজস্থান জানিয়ে দেয়, পুরো ঘটনাটি মজার ছলে করা হয়েছিল। আদৌ এই রকমের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেখানে দেখা যায়, নেটমাধ্যমের দায়িত্বে কে থাকবেন তার জন্য ‘নকল’ অডিশন দিচ্ছেন যুজবেন্দ্র চহাল, রিয়ান পরাগরা।
এই ঘটনায় মোটেই খুশি হতে পারেননি সমর্থকরা। তাঁদের যুক্তি, আইপিএল শুরু হওয়ার আগে যেখানে সব দল কঠোর অনুশীলন করছে সেখানে রাজস্থান মজা করতে ব্যস্ত। এতে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। এ বার থেকে রাজস্থান টুইটারে সত্যি কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সেটা সবাই মজা হিসাবে ধরে নিতে পারেন। এ রকম মজা করে আখেরে নিজেদেরই হাসির পাত্র বানিয়েছে রাজস্থান, এমনটাই মত সমর্থকদের।