লখনউয়ের বিরুদ্ধে মারমুখী মেজাজে অভিষেক পোড়েল। ছবি: আইপিএল।
শুরুটা ভাল করেছিলেন অভিষেক পোড়েল। দ্রুত রান করছিলেন তিনি। অর্ধশতরান করেন বাঙালি ক্রিকেটার। তিনি আউট হওয়ার পরে রানের গতি কমে যায়। শেষ দিকে হাত খোলেন ট্রিস্টান স্টাবস। এই দুই ব্যাটারের অর্ধশতরানে প্রথমে ব্যাট করে ২০৮ রান করে দিল্লি। অর্থাৎ, লখনউ সুপার জায়ান্টসকে জিততে ২০৯ রান করতে হবে।
চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে তাদের। টস হারেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। দ্বিতীয় বলেই ফর্মে থাকা জেক-ফ্রেজ়ার ম্যাকগার্ককে শূন্য রানে আউট করেন আরশাদ খান।
আর এক ওপেনার অভিষেক ফর্মে ছিলেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বড় শট খেলছিলেন তিনি। বিশেষ করে লখনউয়ের পেসারদের বলের গতি ব্যবহার করছিলেন বাঙালি বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। অভিষেককে সঙ্গ দিচ্ছিলেন শাই হোপ। তিনিও দ্রুত রান করছিলেন।
পেসারেরা রান দেওয়ায় স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন রাহুল। অভিষেক ও হোপের ৯২ রানের জুটি ভাঙেন রবি বিষ্ণোই। ৩৮ রানের মাথায় হোপকে আউট করেন তিনি। ভাল ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রাহুল। তাঁর ক্যাচ দেখে গ্যালারিতে বসে থাকা সঞ্জীব গোয়েন্কাও দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। আগের ম্যাচে হারের পরে রাহুলের সঙ্গে লখনউ মালিকের উত্তপ্ত কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। দেখে মনে করা হচ্ছিল, রাহুলকে ভর্ৎসনা করছেন গোয়েন্কা। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। যদিও এই ম্যাচে রাহুলের ক্যাচের পরে গোয়েন্কার মুখে দেখা গেল চওড়া হাসি।
দিল্লিকে বড় ধাক্কা দেন নবীন উল হক। ৩৩ বলে ৫৮ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বসেন অভিষেক। ভাল ক্যাচ ধরেন নিকোলাস পুরান। অভিষেক যত ক্ষণ ছিলেন তত ক্ষণ ওভার প্রতি ১০ রানের বেশি হচ্ছিল। তিনি আউট হওয়ার পরে রানের গতি কমে যায়। লখনউয়ের বোলারদের বিরুদ্ধে পন্থ ও স্টাবস তেমন হাত খুলতে পারছিলেন না।
ডেথ ওভারে বড় শট মারার চেষ্টা করেন দুই ব্যাটার। শুরুও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৩৩ রান করে নবীনের বলে আউট হন পন্থ। ফলে দলকে ২০০ বা তার বেশি রানে নিয়ে যাওয়ার সব দায়িত্ব দিয়ে পড়ে স্টাবসের কাঁধে। শেষ দুই ওভারে হাত খোলেন স্টাবস। নবীনের ওভার থেকে আসে ২১ রান। মাত্র ২২ বলে অর্ধশতরান করেন স্টাবস। তাঁর ব্যাটেই ২০০ পার হয় দিল্লির। তাঁদের কাজ কিছুটা সহজ করে দেন বিষ্ণোই। শেষ ওভারে দু’টি ক্যাচ ফেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে দিল্লি। স্টাবস ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দিল্লির মাঠে চলতি আইপিএলে প্রথম ইনিংসে গড় রান ২৪২। তাই লখনউয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি কিছুটা কম রান করেছে। এই পরিস্থিতিতে দলকে জেতাতে ভাল বল করতে হবে ইশান্ত শর্মা, মুকেশ কুমারদের।