আইপিএলের কঠিন প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা বললেন ধোনি। — ফাইল চিত্র
এই নিয়ে দশ বার তাঁর অধীনে ফাইনালে উঠল দল। আড়েবহরে প্রতিযোগিতা এখন বেশ কিছুটা বেড়েছে। এই নিয়ে দু’বছর হল আট দল থেকে দশ দলের আইপিএল হয়েছে তাই আবার ফাইনালে ওঠাকে আর সাধারণ কোনও ফাইনালে সঙ্গে তুলনা করা যাবে না বলেই মত মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। বললেন, “আইপিএল এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এটা স্রেফ আর একটা ফাইনালে ওঠা, এমন কথা এখন আর বলা যাবে না। আগে আট দলের প্রতিযোগিতা ছিল। এখন দশ দলের হয়েছে। ফলে সাধারণ একটা ফাইনালের মতো মোটেই নয়। দু’মাসের কঠোর পরিশ্রমের ফল এই ফাইনাল।”
গুজরাতের বিরুদ্ধে জয়ের পিছনে অনেক ক্রিকেটারই অবদান রেখেছেন। কিন্তু আলাদা করে কারও নাম করতে চাইলেন না ধোনি। বলেছেন, “প্রত্যেকে অবদান রেখেছে। তবে মিডল অর্ডার সে ভাবে সুযোগ পায়নি। কিন্তু একটা কথা বলবই, টসে হেরে আমাদের সুবিধাই হয়েছে। জাড্ডুর (রবীন্দ্র জাডেজা) কথাও বলতে হবে। নিজের পছন্দের পরিবেশ পেলে ওকে মারা খুবই কঠিন। ওর বোলিং ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল। তার আগে মইনের সঙ্গে ওর জুটির কথা ভুললে চলবে না।”
কী ভাবে এই দলকে এতটা সংহত এবং ঐক্যবদ্ধ রাখেন সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন ধোনি। তাঁর মতে, সতীর্থরা কখনও-সখনও তাঁর উপর রেগে যেতেই পারে। কিন্তু তিনি দলের ভালর জন্যেই তা করেন। বলেছেন, “কখনও সতীর্থরা আমার উপরে রেগে যেতেই পারে। রাগিয়ে দেওয়ার মতো কাজও করতে পারি। মাঝে মাঝেই ফিল্ডারদের ২-৩ ফুট এদিক-ওদিক করে দিই। ওদের সেটা পছন্দ না-ই হতে পারে। একটাই কথা ওদের বলি, সব সময় আমার দিকে চোখ রাখো। যদি কোনও ক্যাচ ফেলে দাও তখন আমার কোনও প্রতিক্রিয়া পাবে না। কিন্তু আমার দিকে সব সময় নজরটা রাখো।”
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাল একটি দৃশ্য দেখা গেল। তত ক্ষণে সবাই নিজের প্রাপ্য পেয়ে গিয়েছেন। প্রথা অনুযায়ী এর পর জয়ী দলের অধিনায়ককে ডেকে নেন সঞ্চালকরা। কিন্তু মঙ্গলবার চিপকে সে সবের ধারকাছ দিয়ে গেলেন না সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে। বললেন, “এ বার তা হলে শোনা যাক।” সঙ্গে সঙ্গে গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে এক জনের নামেই চিৎকার। হাসতে হাসতে হর্ষের সামনে এসে দাঁড়ালেন ধোনি। তার পরেও অপেক্ষা করতে হল কয়েক সেকেন্ড। দর্শকদের চিৎকার থামছিলই না। বার দুয়েক হর্ষ জিজ্ঞাসা করলেন ধোনি তাঁর কথা শুনতে পাচ্ছেন কিনা। ম্যাচের পর এই মুহূর্তটাই বুঝিয়ে দিল ধোনির প্রতি চেন্নাইয়ের ভালবাসা ঠিক কতটা।