শুক্রবার আইপিএলের ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারাল চেন্নাই। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের দশম ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচ থেকে সেরা তিন ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। পারফরম্যান্সের বিচারে সেরাদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
ক্রুণাল পাণ্ড্য: নিঃসন্দেহে লখনউ এবং হায়দরাবাদ ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকবেন ক্রুণাল। প্রথমে বল হাতে এবং পরে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন হার্দিক পাণ্ড্যর দাদা। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদেই সহজ জয় পেল লখনউ। বোলার ক্রুণাল ১৮ রান দিয়ে তুলে নিলেন প্রতিপক্ষের ৩ উইকেট। হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অমলপ্রীত সিংহ এবং ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে ছাড়াও আউট করলেন চার নম্বরে নামা এডেন মার্করামকে। হায়দরাবাদ অধিনায়ককে প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন ক্রুণাল। তাঁর অনবদ্য বোলিংই মূলত হায়দরাবাদের ইনিংসে ধস নামাল। পরে ব্যাট হাতেও দলের জয়ে অবদান রাখলেন হার্দিকের দাদা। ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে লখনউকে পৌঁছে দিলেন জয়ের কাছাকাছি। উমরান মালিকের বলে আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা।
লোকেশ রাহুল: সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকছেন লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও। কঠিন উইকেটে দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন তিনি। ওপেন করতে নেমে দলের জয় সুনিশ্চিত করলেন উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে। লক্ষ্য খুব বড় না থাকায় অযথা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেননি। আবার খারাপ বলকে বাউন্ডারিতে পাঠাতেও দু’বার ভাবেননি। শেষ পর্যন্ত রাহুল করলেন ৩১ বলে ৩৫ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪টি চার। ভাল খেললেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল লখনউ অধিনায়কের।
অমিত মিশ্র: বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখালেন অমিত। ৪০ বছরের লেগ স্পিনার বল হাতে সমস্যায় ফেললেন হায়দরাবাদের ব্যাটারদের। শুক্রবার অভিজ্ঞ স্পিনারকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যবহার করে লখনউ। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলেন নিয়ে দলের আস্থার মর্যাদা রাখলেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং আদিল রশিদ তাঁর শিকার। দীর্ঘ দিন পর অমিতের বোলিংয়ে দেখা গেল পুরনো ঝলক। তাই লখনউ-হায়দরাবাদ ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকছেন তিনিও।