দিল্লির বিরুদ্ধে অনবদ্য বল করলেন শামি। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচ থেকে সেরা তিন ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। পারফরম্যান্সের বিচারে সেরাদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
মহম্মদ শামি: গুজরাত-দিল্লির ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে প্রথমেই থাকছেন শামি। তাঁর অনবদ্য বোলিং দিল্লির ইনিংসকে শুরুতেই বেসামাল করে দেয়। মঙ্গলবার আমদাবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জীবনের সেরা বোলিং করলেন তিনি। তাঁর বলের সুইং ধরতেই পারলেন না দিল্লির ব্যাটাররা। ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিলেন শামি। আউট করলেন ফিল সল্ট, রিলি রুসো, মণীশ পাণ্ডে এবং প্রিয়ম গর্গকে। তাঁর দাপটে ২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় ডেভিড ওয়ার্নারের দল। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকছেন বাংলার জোরে বোলার।
ইশান্ত শর্মা: গুজরাত-দিল্লি ম্য়াচের অন্যতম নায়ক ইশান্ত। শেষ ওভারে দুরন্ত বল করে দিল্লির জন্য জয় ছিনিয়ে আনলেন তিনি। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন দিল্লির অভিজ্ঞ জোরে বোলার। ১৯তম রাহুল তেওটিয়া পর পর তিনটি ছক্কা মেরে গুজরাতকে প্রায় জয়ের দরজায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচের শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে দলের জয় নিশ্চিত করলেন ইশান্ত। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল হার্দিক পাণ্ড্যদের। কিন্তু ইশান্তের বলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকছেন দিল্লির জোরে বোলারও।
আমন খান: ব্যাটিং ধসের মধ্যে দাঁড়িয়ে দিল্লিকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিলেন আমন। যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন দিল্লির রান ছিল ২৩ রানে ৫ উইকেট। চাপের মুখে লড়াই করলেন আমন। ৪৪ বলে ৫১ রান করার পথে মারলেন ৩টি করে চার এবং ছয়। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার সময় দলকে পৌঁছে দেন ১৩০ রানে। ব্যাট হাতে তিনি রুখে দাঁড়াতে না পারলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলকে আরও বড় লজ্জার মুখে পড়তে হত। সে কারণেই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে গুজরাত-দিল্লি ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে থাকছেন ২৬ বছরের প্রাক্তন নাইট। দলের বিপদের সময় আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরান করলেন তিনি।