রবীন্দ্র জাডেজা। —ফাইল চিত্র।
চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকদের উল্লাস কখনও কখনও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াত সে দলের ক্রিকেটারদের জন্যই। মাঠে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থাকলে চেন্নাইয়ের আর কারও দিকে সমর্থকদের নজর যায় না। এই কারণে নাকি বিরক্ত হয়ে যেতেন রবীন্দ্র জাডেজা। সহ্য করতে হত তাঁকে। এমনটাই জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়ডু।
রায়ডু জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ে খেলার সময় তাঁর অনেক বার মনে হয়েছে, সমর্থকদের একটা বড় অংশ দলকে নয়, ধোনিকে সমর্থন করেন। ধোনি চেন্নাইয়ে খেলেন বলেই তাঁরা সেই দলের সমর্থক। তাঁরা গ্যালারিতে থাকলে ধোনি ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটারকে দেখতে পেতেন না। তাতে সমস্যা হত জাডেজার।
একটি ভিডিয়োতে রায়ডু বলেন, “যদি আমি বা জাডেজা চার-ছক্কা মারতাম তখনও দর্শকরা চুপ থাকত। আমার আর জাডেজার সেটা অনেক বছর ধরে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ওরা প্রথমে ধোনির ভক্ত। তার পরে চেন্নাইয়ের সমর্থক। জাডেজা বিরক্ত হয়ে যেত। কিন্তু কিছু করতে পারত না। মুখ বুজে সহ্য করতে হত।”
চলতি আইপিএলেও দেখা গিয়েছে ধোনির সমর্থন। ভারতের যে মাঠেই চেন্নাই খেলতে গিয়েছে, গ্যালারি ভরিয়েছেন হলুদ জার্সি পরা সমর্থকেরা। ধোনি মাঠে নামলে চিৎকারে কান পাতা দায় হয়েছে। এ বারের পরে হয়তো আর আইপিএল খেলবেন না ধোনি। সেই কারণেই হয়তো ভক্তদের আবেগ আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অবসর নিয়ে ধোনি নিজে কিছু বলেননি। এখন ‘ধোনি ধোনি’ চিৎকারে অবশ্য জাডেজা বিরক্ত হন কি না সেটা জানেন না রায়ডু। কারণ, এখন আর চেন্নাইয়ের সদস্য নন তিনি।
২০২২ সালের আইপিএলের আগে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন ধোনি। সেই সময় অধিনায়ক করা হয়েছিল জাডেজাকে। কিন্তু প্রথম আটটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জেতে চেন্নাই। ফলে মরসুমের মাঝেই নেতৃত্ব ছাড়েন জাডেজা। আবার অধিনায়ক হন ধোনি। পরের বার দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। চলতি আইপিএলের আগে আবার নেত়ৃত্ব ছাড়েন ধোনি। এ বার জাডেজা নয়, অধিনায়ক করা হয়েছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে।