যাঁর ব্যাটের তাণ্ডবে জয় অধরা থেকে গেল ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের, তিনি নিকোলাস পুরান। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রানের রোশনাই শুরু হয়েছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। তখন কে-ই বা জানতেন, শেষ বলে নাটকীয় জয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ফের এক হারের স্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে!
যাঁর ব্যাটের তাণ্ডবে জয় অধরা থেকে গেল ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের, তিনি নিকোলাস পুরান। ক্যারিবিয়ান তারকার ১৯ বলে ৬২ রানই রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিল লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরকে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে পুরান বলে গেলেন, ‘‘এই জয় উৎসর্গ করছি স্ত্রী ও নবজাতককে। এই জয়টা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘কে এল রাহুল এবং মার্কাস স্টোয়নিসের জুটি জয়ের পথ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল। আরও স্পষ্ট করে বললে, মার্কাসই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।’’
নিজের ইনিংস নিয়ে পুরানের বিশ্লেষণ, ‘‘চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ পুরোদস্তুর ব্যাটিং সহায়ক ছিল। দ্বিতীয় বলে ছয় মারার পরেই বুঝে গিয়েছিলাম, বড় রান পেয়ে যাব।’’ সেখানেই না থেমে লখনউ-নায়ক আরও বলে যান, ‘‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। গত কয়েক বছর মোটেও ভাল যায়নি। একটা সময় খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন ভাল জায়গায় চলে এসেছি। ফের ক্রিকেট উপভোগ করছি।’’
কেকেআর-র পরে ঘরের মাঠে ফের হার। টানা দু’ম্যাচে হার মেনে নিতে পারছেন না ডুপ্লেসি। আরসিবি অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘খুব বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। ইনিংসের মাঝের দিকে আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। কিন্তু শেষ বলে এসে আবহই পাল্টে গেল। নিজেদের হাতে যত ধরনের অস্ত্র ছিল, সবকটাই প্রয়োগ করেও ম্যাচ ধরে রাখতে পারিনি।’’
লখনউ অধিনায়ক কে এল রাহুল বলে যান, ‘‘এমন একটা অবিশ্বাস্য জয় সব দিক থেকেই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে, চিন্নাস্বামী কিন্তু আমারও ঘরের মাঠ। আরসিবি হারলেও দর্শকরা নিশ্চয়ই ম্যাচ উপভোগ করেছেন।’’
ধাওয়ানে মুগ্ধ লারা: রবিবার পঞ্জাব কিংসকে আট উইকেটে হারিয়ে আইপিএলে প্রথম জয়ের উল্লাসের মধ্যেও সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের কোচ ব্রায়ান লারা মোহিত শিখর ধাওয়ানের অপরাজিত ৯৯ রানের অনবদ্য ইনিংসে।ম্যাচের পরে লারা বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। শিখর যে ভাবে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করে দলের এত অল্প রানের মধ্যে একাই ৯৯ করল, তা অনবদ্য। একটা সময় তো এমনও মনে হচ্ছিল, আমাদের হাত থেকে ও ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যাবে।’’