কলকাতা নাইট রাইডার্স। —ফাইল চিত্র।
আটকে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়রথ। চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ চিপকে হেরে গেল কলকাতা। প্রথমে ব্যাট করে ১৩৭ রান করে তারা। এই রান করে ম্যাচ জেতা কঠিন ছিল। এত কম রান হাতে নিয়ে কলকাতার বোলারেরা ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল চেন্নাই। দেখে নেওয়া যাক নাইটদের হারের নেপথ্যে রয়েছে কোন পাঁচ কারণ।
পাওয়ার প্লে: সব দল চেষ্টা করে প্রথম ৬ ওভারে বড় রান তুলে নেওয়ার। সেখানে রবিবার কেকেআর ৬ ওভারে তুলল ৫৬ রান। তার মধ্যে প্রথম ওভারে সুনীল নারাইনেরা নিয়েছিলেন মাত্র এক রান। ষষ্ঠ ওভারে করেছিলেন ৬ রান। ফিল সল্টের উইকেটও হারায় কলকাতা ইনিংসের প্রথম বলে। শুরুতেই বড় রান তুলতে না পারা বড় ধাক্কা হয়ে যায় কলকাতার জন্য। পুরো ইনিংসেই সেটার প্রভাব পড়ে।
রক্ষণাত্মক ব্যাটিং: গোটা ইনিংসে কেকেআর ১১টি চার এবং চারটি ছক্কা মেরেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত কম বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জেতা কঠিন। নারাইন মারেন দু’টি ছক্কা। একটি করে ছক্কা মারেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী এবং রমনদীপ সিংহ। বাকি কোনও ক্রিকেটার ছক্কা মারতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বাউন্ডারিরই খেলা। সেখানে কেকেআরের ব্যাটারেরা মারলেন মাত্র চারটি ছক্কা। হারের নেপথ্যে অবশ্যই বড় কারণ ছক্কা মারতে না পারা।
বড় রানের জুটি নেই: কেকেআরের ইনিংসে সব থেকে বড় রানের জুটি ৫৫ রানের। সেটি গড়েন অঙ্গকৃশ এবং নারাইন। তাঁরা আউট হওয়ার পর আর কোনও বড় রানের জুটি নেই। বাকি জুটিগুলির মধ্যে সব থেকে বড় জুটিটি ২৭ রানের। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে বড় রান তোলার সম্ভাবনাই শেষ হয়ে যায় কেকেআরের।
জাডেজার বোলিং: ইনিংসের প্রথম বলে ফিল সল্টের উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ছিলেন নারাইন এবং অঙ্গকৃশ। এই দুই ব্যাটারকেই এক ওভারে আউট করেন জাডেজা। প্রথম বলে অঙ্গকৃশ এবং ওই ওভারের পঞ্চম বলে নারাইনের উইকেট নেন তিনি। অঙ্গকৃশকে এলবিডব্লিউ করেন জাডেজা। নারাইন ক্যাচ দেন মাহিস থিকসানার হাতে।
নিষ্প্রভ স্টার্ক: অল্প রান করেও অনেক সময় ম্যাচ জেতা যায়। কিন্তু সেটার জন্য শুরুতেই উইকেট তোলা প্রয়োজন। সেই কাজটাই করতে পারলেন না স্টার্ক। তিন ওভারে ২৯ রান দিলেন তিনি। কোনও উইকেটও নিতে পারলেন না। নতুন বলে তাঁর থেকে উইকেট চেয়েছিল কলকাতা। সেটাই পারলেন না তিনি। হেরে গেল কলকাতাও।