চেন্নাই সুপার কিংস দলে ছিলেন বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে একাধিক বড় নাম ব্যর্থ। অনেক দলই নিলামে প্রচুর টাকা খরচ করে সেই ক্রিকেটারদের কিনেছিল। কিন্তু সেই ক্রিকেটাররা কখনও চোটের কারণে পুরো আইপিএল খেলতে পারেননি, কখনও আবার খেললেও সে ভাবে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। এমন পাঁচ ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হল যাঁরা এ বারের আইপিএলে ব্যর্থ।
বেন স্টোকস: নিলামে চেন্নাই সুপার কিংস যখন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারকে কিনে নেয়, তখন মনে করা হয়েছিল আগামী দিনে তাঁকে হয়তো অধিনায়ক হিসাবে ভাবছে তারা। কিন্তু এ বারের আইপিএলে সে ভাবে খেলানো গেল না স্টোকসকে। ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ককে নিতে। সেই অলরাউন্ডার চেন্নাইয়ের হয়ে মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ১৫ রান। এক ওভার বল করে দিয়েছিলেন ১৮ রান। হাঁটুতে চোট থাকায় খেলাই হল না স্টোকসের।
হ্যারি ব্রুক: ইংল্যান্ড দলের ভবিষ্যতের তারকা বলা হচ্ছে তাঁকে। সেই ব্রুক শতরানও করেন। কিন্তু এ বারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই ব্যাটার ১১টি ম্যাচে করেন ১৯০ রান। ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে তাঁকে কিনেছিল হায়দরাবাদ। কেকেআরের বিরুদ্ধে শতরান ছাড়া গোটা আইপিএলেই ব্যর্থ ব্রুক। তাঁর দলও প্লে-অফে উঠতে পারেনি।
জোফ্রা আর্চার: ইংরেজ পেসারকে কেন্দ্র করেই এ বারে মুম্বইয়ের পেস আক্রমণ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। যশপ্রীত বুমরা না থাকায় মুম্বইয়ের ভরসা ছিলেন আর্চার। কিন্তু তিনি মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেন। তার পর চোট পেয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। মুম্বইয়ের ৮ কোটি টাকা দিয়ে কেনা আর্চারের বদলে শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মারা দলে নেন ক্রিস জর্ডন।
স্যাম কারেন: ইংল্যান্ডের আরও এক অলরাউন্ডার ব্যর্থ। কারেন এ বারের আইপিএলের নিলামে সব থেকে দামি ক্রিকেটার। ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। কিন্তু ১৪ ম্যাচে তিনি করেন ২৭৪ রান এবং নেন ১০ উইকেট। নিজের দামের প্রতি সুবিচার তো করতেই পারেননি, নামের প্রতি করেননি।
কাগিসো রাবাডা: দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার যে কোনও ধরনের ক্রিকেটেই ভয়ঙ্কর। তিনি ছ’ম্যাচে নেন সাত উইকেট। ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার এই পেসারকেও নিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। গত বছরও আইপিএলে বল হাতে ব্যাটারদের ঘুম কেড়ে নেওয়া রাবাডা, এ বারে সে ভাবে প্রভাব ফেলতেই পারলেন না।