ধোনির দুই ধরনের বুদ্ধির ছাপ দেখা গেল। —ফাইল চিত্র
একই ম্যাচের মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দুই ধরনের বুদ্ধি দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথমটায় এল হার্দিক পাণ্ড্যর উইকেট আর দ্বিতীয়টিতে ডেথ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসয়ের দাপট। ধোনির প্রথম বুদ্ধিটি একেবারেই ক্রিকেটীয়। দ্বিতীয় বুদ্ধিটিতে একটু কুবুদ্ধির ছাপ। আইপিলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাত টাইটান্সকে ১৫ রানে হারায় চেন্নাই। সেই ম্যাচেই ধোনির দুই ধরনের বুদ্ধির ছাপ দেখা গেল।
প্রথমটি ঘটে পঞ্চম ওভারে। মাহিশ থিকসানা বল করছিলেন। তাঁর চতুর্থ বলে হার্দিক রান নিতে পারেননি। স্কোয়ারের দিকে খেলেছিলেন। তাতেই ধোনি বুঝে নেন হার্দিকের মতিগতি। রবীন্দ্র জাডেজাকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে পাঠিয়ে দেন তিনি। পরের বলে হার্দিক সেখানেই ক্যাচ দেন। ওই সময় হার্দিক ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলে বিপদ হত। ধোনির বুদ্ধিতে চেন্নাই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিতে জয়ের রাস্তা কিছুটা সহজ হয়ে যায়।
অন্য বুদ্ধিটি ম্যাচের শেষের দিকে। চেন্নাইয়ের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে মাথিসা পাথিরানার। কিন্তু তিনি হয়তো ডেথ ওভারে তিন ওভার বলই করতে পারতেন না ধোনির কুবুদ্ধি না থাকলে। মঙ্গলবার ১৬তম ওভারে পাথিরানাকে বল করাতে গিয়ে বিপদে পড়েন ধোনি। পাথিরানা তার আগে মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন। ৯ মিনিট বাইরে ছিলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মাঠে ফেরার পর সেই সময় বল করতে পারবেন তিনি। কিন্তু ধোনি যখন ১৬তম ওভার পাথিরানাকে দিতে চাইছেন, তখন কয়েক মিনিট বাকি রয়েছে সেই সময় পার করতে। ধোনি এই সময়টাই চুরি করে নেন বুদ্ধি করে। তিনি আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ১৬তম ওভারের আগে ধোনিকে দেখা যায় স্কোয়ার লেগের আম্পায়ারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে। ধোনি যখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মইন আলি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং পাথিরানাকেও দেখা গিয়েছিল ওখানে।
ধোনির এই দুই বুদ্ধিতে ম্যাচে দাপট দেখায় চেন্নাই। যে দাপটে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। ২৮ মে সেই ম্যাচ হবে আমদাবাদে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে কোন দল খেলবে তা ঠিক হবে শুক্রবারের ম্যাচে।